মেয়েদের ওপর পুরুষের নিয়ন্ত্রণ অবসানের ডাক, সৌদিতে জেল-জরিমানা ব্যক্তির
রিয়াধ: দেশে মেয়েদের ওপর পুরুষের সার্বিক নিয়ন্ত্রণের অবসানে উদ্যোগী হওয়ায় সৌদি আরবে এক ব্যক্তির এক বছরের জেল হল। পাশাপাশি তাঁকে ৩০ হাজার রিয়াল (৮০০০ মার্কিন ডলার) জরিমানার নির্দেশও দিয়েছে সৌদির পূর্বের দাম্মাম শহরের আদালত। মুসলিম দেশটিতে মেয়েদের ওপর পুরুষের সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ, কর্তৃত্ব ফলানোর প্রথার অবসানে প্রচার করছিলেন তিনি। দৈনিক ওকাজ-এর খবর, ট্যুইটারে ও প্রকাশ্যে পোস্টার মেরে তিনি যেসব কথা প্রচার করেছেন, সেজন্য তাঁকে 'মেয়েদের ওপর পুরুষের অভিভাবকত্বের অবসানে উসকানি দেওয়ায়' দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দৈনিকটির খবর, একাধিক মসজিদে পোস্টার মারার কথা স্বীকার করেছেন লোকটি। তাঁর দাবি, মহিলা আত্মীয়দের পরিবারে অবিচারের শিকার হতে দেখেছেন, তাই তিনি 'সচেতনতার বার্তা প্রচার' করছিলেন।আদালতে প্রমাণ হয়েছে, ট্যুইটারে প্রচারের পিছনেও ছিলেন তিনিই। ঘটনাচক্রে, ট্যুইটারে প্রচার অভিযানের জেরে গত সেপ্টেম্বরেই পিটিশনে সই করে হাজার হাজার সৌদি নাগরিক পুরুষের নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম অবসানের দাবি করেন। অতি রক্ষণশীল সৌদি আরবে মেয়েদের পুরোপুরি পুরুষের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হয়। পরিবারের মেয়েদের পড়াশোনা, বাড়ির বাইরে বেরনো ও অন্যান্য কাজকর্মের জন্য বাবা, স্বামী বা ভাইয়ের সম্মতি লাগে। মেয়েদের ওপর সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধগুলির বেশ কয়েকটি চালু রয়েছে সৌদি আরবেই। মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই একমাত্র এখানেই ।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীদের দাবি, মহিলা জেলবন্দিদের মুক্তির পর পুরুষ অভিভাবকের হাতেই তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে দেশে। যার অর্থ, কোনও মহিলাকে তাঁর বাড়ির অভিভাবক গ্রহণ করতে না চাইলে তাঁকে সাজার মেয়াদ পেরনোর পরও জেলেই কাটাতে হবে।