১৫০ জন মরবে, তাই শেষ মুহূর্তে মার্কিন ড্রোন ধ্বংস করা ইরানে প্রত্যাঘাত বাতিল করি, দাবি ট্রাম্পের
শুক্রবার ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ডের তরফে বলা হয়, তারা ওমান উপসাগরের ওপর মার্কিন ড্রোনটিকে দুবার সতর্ক করে। পরে তা ধ্বংস করে দেয়।
ওয়াশিংটন: মার্কিন ড্রোনকে ধ্বংস করার বদলা হিসেবে ইরানে চাইলে প্রতিঘাত করতেই পারতেন। কিন্তু, তাতে প্রায় ১৫০ নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হত। যে কারণে ইরানে ‘স্ট্রাইক’ করা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকালই, মার্কিন ড্রোনকে মেরে ভূপতিত করে দেয় তেহরান। তাদের দাবি, মার্কিন ড্রোন তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। ইরানের মার্কিন ড্রোন ধ্বংসের কথা ওয়াশিংটন স্বীকার করলেও, তারা অবশ্য জানিয়ে দেয়, আকাশসীমা লঙ্ঘনের তত্ত্ব একেবারে মিথ্যে। এদিন ট্রাম্প জানান, হোরমুজ প্রণালী-- যেখানে মার্কিন ড্রোনকে ধ্বংস করেছে ইরান, সেখানে তিনটি জায়গায় প্রত্যাঘাত করার জন্য তৈরি ছিল তারা। কিন্তু, হামলার ১০ মিনিট আগে, তিনি তা রুখে দেন। টুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, তিনি তাঁর জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ওই স্ট্রাইকে কতজন মারা যাবে? উত্তরে সামরিক প্রধান জানান, প্রায় ১৫০ জন। ট্রাম্পের দাবি, তখন তিনি স্ট্রাইক বাতিল করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, চালকবিহীন বিমান ধ্বংস করে ঠিক করেনি ইরান। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই, ইরান ও আমেরিকার মধ্যে চাপানউতোর চলছে। দুদেশের মধ্যে সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন ট্যাঙ্কারে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইরানের বিরুদ্ধে। এখন শুক্রবার ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ডের তরফে বলা হয়, তারা ওমান উপসাগরের ওপর মার্কিন ড্রোনটিকে দুবার সতর্ক করে। পরে তা ধ্বংস করে দেয়।