Ukraine News: ভারত-সহ ৫ দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত অপসারণের সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের
Ukraine President Sacks Ambassador To India: বলা নেই, কওয়া নেই। হঠাতই ভারত-সহ ৫টি থেকে রাষ্ট্রদূত সরিয়ে দিল ইউক্রেন। নেপথ্যের কারণ স্পষ্ট নয়। রাষ্ট্রদূতদের অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা, স্পষ্ট নয় তাও।
কিয়েভ: আচমকাই ভারত-সহ (india) পাঁচ দেশের ইউক্রেনের (ukraine) রাষ্ট্রদূতদের (ambassador) অপসারণের (sack) সিদ্ধান্ত নিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (zelensky)। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট নয়। যে ডিক্রি জারি করে তাঁদের সরানো হয়েছে, সেখানে কোনও কারণ বলা হয়নি। অপসারিত রাষ্ট্রদূতেরা অন্য কোনও দায়িত্ব পাবেন কি না, জানানো হয়নি সেটিও।
কেন অপসারণের সিদ্ধান্ত?
ভারত ছাড়া আর যে দেশগুলি থেকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরি। এর মধ্যে জার্মানির সঙ্গে ইউক্রেনের সমীকরণ বিশেষ স্পর্শকাতর বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের বড় অংশের। রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহের উপর জার্মানি ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল। এবং হালে মস্কোর কারণে কিয়েভ-বার্লিন সম্পর্ক কিছুটা টাল খেয়েছে বলেও খবর। নেপথ্যে জার্মানির তৈরি টার্বাইন যা এই মুহূর্তে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কানাডায় রয়েছে। জার্মানি চায়, ওই টার্বাইন রুশ গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা 'গ্যাসপ্রম'-র হাতে তুলে দিক কানাডা। কিন্তু এই হস্তান্তরে নারাজ ইউক্রেন। তাদের যুক্তি, গত কয়েক মাস ধরে যা পরিস্থিতি তাতে রাশিয়াকে এই টার্বাইন পাঠানোর অর্থ তার উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা। এই নিয়ে টানাপড়েন চলছে। পাশাপাশি ভারত যে সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি, সেটাও না-পসন্দ ইউক্রেনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই কথা বলেছিলেন। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে যাতে তাঁরা এই সমস্যা মিটিয়ে দেন, সেই আর্জিই জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি। বরং রাষ্ট্রপুঞ্জে নয়াদিল্লি কেন মস্কোর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়নি, সেটায় ক্ষুব্ধ কিয়েভ প্রশাসনের অনেকেই। তবে এই সমীকরণের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত অপসারণের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের মাটিতে হামলা চালায় রাশিয়া। তার পর থেকে টানা যুদ্ধ চলছে। আলোচনা, বৈঠক এখনও পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, বিভিন্ন দেশে থাকা কিয়েভের রাষ্ট্রদূতরা ইউক্রেনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের কাজ করুন। সামরিক সাহায্য নিয়ে আসুন।
সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ না হওয়াতেই কি এই সিদ্ধান্ত? জোর গুঞ্জন আন্তর্জাতিক মহলে।
আরও পড়ুন:৫ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে কোর্বেভ্যাক্স এবং কোভ্যাকসিন, জানাল NTAGI প্যানেল