Bengaluru News: বাস চালাতে চালাতেই হৃদরোগে মৃত্যু চালকের, কন্ডাক্টরের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল যাত্রীদের
Viral Video: ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে সেই সময় আরও একটি বিএমটিসির বাস যাচ্ছিল, সেই বাসকে অল্প ধাক্কাও মারে এই বাস। চালক ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। বাস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন।
Viral Video: ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো, দেখলে গা শিউরে ওঠে ভয়ে। বাস চালাতে চালাতেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় চালকের। চলন্ত বাস থামাতে ছুটে আসেন কন্ডাক্টর। বেঁচে যায় যাত্রীদের প্রাণ। জানা যায় সেই চালকের বয়স মাত্র ৩৯ বছর। এমনই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru News)। বাসের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ফুটেজ (Viral Video)। সেই চালকের নাম কিরণ, বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের এক বাসচালক তিনি। সোমবার যশবন্তপুরের কাছে বাসের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়, হৃদরোগে মারা যান কিরণ। নেলামঙ্গলা থেকে যশবন্তপুরের দিকে বাস চালিয়ে আসছিলেন তিনি। সেই সময় পথেই হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি এবং তৎক্ষণাৎ জ্ঞান হারান কিরণ।
ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে সেই সময় আরও একটি বিএমটিসির বাস যাচ্ছিল, সেই বাসকে অল্প ধাক্কাও মারে এই বাস। চালক ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। বাস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন। আর সেই অবস্থাই সামাল দেন এক তৎপর বাস কন্ডাক্টর। তিনি ছুটে এসে বাস থামিয়ে দেন। একটা বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান সকলেই। বাস থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কিরণকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সেই বাসের কন্ডাক্টরের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে যার প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের কারণে যাত্রীদের প্রাণ বেঁচে যায়।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি স্বাস্থ্য সমীক্ষা প্রকাশ পায় যেখানে দেখা যায় ৭৬৩৫ জন বিএমটিসি কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ কর্মীর বয়সই ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং তাদের সকলেরই কার্ডিওভাসকুলার রোগ রয়েছে। রাজ্য সরকারের জয়দেব ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল এই সমীক্ষা। শুধু তাই নয়, এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিএমটিসির মোট কর্মীসংখ্যার ৫.৫ শতাংশের হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, ওবেসিটির সমস্যা রয়েছে। আগামী দিনে আরও ২৫০০ কর্মীর স্বাস্থ্যপরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জয়দেব ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্সের ডিরেক্টর ড. সি এন মঞ্জুনাথ জানিয়েছেন এই কর্মীদের কাজের ধরনের কারণে সবসময়ই প্রচণ্ড স্ট্রেসের মধ্যে থাকতে হয়। শরীরচর্চা করার সময় থাকে না, নিয়মিত গাড়ি চালানোর কারণে খাওয়া-দাওয়াতেও হয় অনিয়ম। তার সঙ্গে নাইট ডিউটিও করতে হয় অনেককে। অতিরিক্ত কাজের চাপ একটি নিয়মিত ঘটনা তাদের জীবনে।
আর এই সাম্প্রতিক ঘটনায় বিএমটিসির কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়ছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হচ্ছে এই সংস্থার কর্মীদের।
আরও পড়ুন: US Election: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন কমলা না ট্রাম্প? ভাইরাল জলহস্তীর ভবিষ্যদ্বাণী!