Chhattisgarh News: অবশেষে ইচ্ছাপূরণ! ২১ বছর পর দাড়ি কাটলেন এই ব্যক্তি, কী পুরো ঘটনা?
Chhattisgarh: শুক্রবার, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল রাজ্যের ৩২তম জেলা মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুরের উদ্বোধন করেন। মানেন্দ্রগঢ়েই জেলার হেডকোয়ার্টার তৈরি হবে।
ছত্তীসগঢ়: দীর্ঘ ২১ বছর পর ইচ্ছেপূরণ। আর তারপরই ক্ষৌরকর্ম সারলেন ছত্তীসগঢ়ের (Chhattisgarh) এক ব্যক্তি। হ্যাঁ, ঠিকই শুনলেন। টানা ২১ বছর ধরে দাড়িতে ক্ষুর ছোঁওয়াননি তিনি। কেন বলুন তো? ছত্তীসগঢ়ের অন্দরে মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুরকে (Manendragarh-Chirmiri-Bharatpur) পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে ২১ বছর ধরে দাড়ি কামাননি (shaving) তিনি।
ইচ্ছেপূরণ, সম্পন্ন হল ক্ষৌরকর্ম
শুক্রবার ছত্তীসগঢ় সরকার রাজ্যের ৩২তম জেলা হিসাবে এমসিবি অর্থাৎ মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুর ঘোষণা করার সঙ্গে ওই ব্যক্তির সংকল্প পূর্ণ হয়।
মানেন্দ্রগঢ়ের বাসিন্দা রামশঙ্কর গুপ্ত একজন আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট। গত বছর অগাস্ট মাসে মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুরকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করায় ২১ বছর পর রামশঙ্কর গুপ্ত দাড়ি কাটেন। কিন্তু এই নবঘোষিত জেলার উদ্বোধন করতে যেহেতু আরও এক বছর লেগে গেল, তাই রামশঙ্কর গুপ্ত নিজের সংকল্পে অটল থেকে এই এক বছর ফের দাড়ি কাটেননি।
তবে শুক্রবার তাঁর ইচ্ছাপূরণ হল অবশেষে, এবং তিনি কামিয়ে ফেললেন তাঁর দাড়ি। এখন তিনি 'ক্লিন শেভড'। এমসিবি জেলার কালেক্টরের হাতে তিনি প্রথম স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
Chhattisgarh man shaves beard after 21 years on fulfilment on wish
— ANI Digital (@ani_digital) September 11, 2022
Read @ANI Story | https://t.co/ohjvkV6jhB#Chattisgarh pic.twitter.com/FNc6fIPdwP
রামশঙ্কর গুপ্তার কথায়, 'আমার সংকল্প ছিল যে যতদিন না মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুরকে নতুন জেলা হিসেবে ঘোষণা না করা হচ্ছে আমি দাড়ি কামাবো না। যদি মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুর কোনওদিনই নতুন জেলা না হত তাহলে আমি কখনওই দাড়ি কাটতাম না। প্রায় ৪০ বছরের সংগ্রাম এটা। আসল মানুষ যাঁরা এই জেলার পরিচিতির জন্য লড়াই করেছেন তাঁরা সকলেই আজ প্রয়াত। এবার তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রীর ভূপেশ বাঘেলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুর কেবল ছত্তীসগঢ়ের কাছে নয় বরং গোটা দেশের কাছে মডেল জেলা হয়ে উঠবে।'
শুক্রবার, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল রাজ্যের ৩২তম জেলা মানেন্দ্রগঢ়-চিরমিরি-ভরতপুরের উদ্বোধন করেন। মানেন্দ্রগঢ়েই জেলার হেডকোয়ার্টার তৈরি হবে। অন্যদিকে চিরমিরির ১০০ বেডের হাসপাতালটিকে এবার জেলা হাসপাতাল করে দেওয়া হবে।
এই উপলক্ষ্যে, মুখ্যমন্ত্রী নতুন জেলায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।