Odisha News: পিঠের ব্যথায় কাতর বৃদ্ধ, ডাক্তার ভেবে হাতুড়ের দ্বারস্থ, পেলেন পশুর ইঞ্জেকশন
Odisha Quack Absconding: শনিবার বাড়ি বয়ে এসে ৫০০ টাকা করে একটি বা দু’টি নয়, মোট তিনটি ইঞ্জেকশন দেন ওই হাতুড়ে ডাক্তার।
![Odisha News: পিঠের ব্যথায় কাতর বৃদ্ধ, ডাক্তার ভেবে হাতুড়ের দ্বারস্থ, পেলেন পশুর ইঞ্জেকশন Odisha Mayurbhanj quack administers livestock injections to patient not his first time Odisha News: পিঠের ব্যথায় কাতর বৃদ্ধ, ডাক্তার ভেবে হাতুড়ের দ্বারস্থ, পেলেন পশুর ইঞ্জেকশন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/04/20/854ea9b76d34e779aad78d0a724b15ac_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ময়ূরভঞ্জ: পশুকে দেওয়ার ইঞ্জেকশন মানুষের শরীরে। দু’-দু’জন রোগীর সঙ্গে একই আচরণ। বিষয়টি চাউর হতেই বেপাত্তা হাতুড়ে ডাক্তার। তাঁর খোঁজে এখন হইহই রইরই কাণ্ড ওড়িশায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
রোগীকে পশুর ইঞ্জেকশন হাতুড়ে ডাক্তারের
ওড়িশার (Odisha News) ময়ূরভঞ্জের (Mayurbhanj News) ঘটনা। অভিযুক্ত ৬৫ বছর বয়সি বিশ্বনাথ বেহেরা। আদতে কেওনঝরের কান্তিপালের বাসিন্দা। ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ময়ূরভঞ্জে যথেষ্ট পসার জমিয়েছিলেন। পিঠের যন্ত্রণায় কাতর ৭৫ বছর বয়সি শ্রীকান্ত মোহান্ত নামডাক শুনেই ছুটে গিয়েছিলেন।
শ্রীকান্তকে পরখ করে ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বলেন ওই হাতুরে ডাক্তার। কিন্তু কিন্তু করেও তাতে রাজি হয়ে যান শ্রীকান্ত । তার পর শনিবার বাড়ি বয়ে এসে ৫০০ টাকা করে একটি বা দু’টি নয়, মোট তিনটি ইঞ্জেকশন দেন ওই হাতুড়ে ডাক্তার। ছ’টি ট্যাবলেট দেন খেতে। তাতে সাময়িক রেহাইও মেলে যন্ত্রণার হাত থেকে।
আরও পড়ুন: Mayurbhanj quack administers livestock injections to patient again, FIR registered
কিন্তু রবিবার পরিস্থিতির অবনতি হেত শুরু করে শ্রীকান্ত র। গায়ে ব্যথা, জ্বর অনুভব করেন। ব্যথায় নড়াচড়া করতেও পারছিলেন না। তার পর শুরু হয় পেটের সমস্যা। পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে ঠাকুরমুন্ডা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে র্তি নেওয়া হয় শ্রীকান্তকে। শুরু হয় চিকিৎসা।
আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত
শ্রীকান্তর ছেলে গজেন্দ্র মোহান্ত সেখানে চিকিৎসককে ওই তিনটি ইঞ্জেকশন দেখান। তাতেই জানা যায় যে, শ্রীকান্ত কে পশু চিকিৎসার ইঞ্জেকশন মেলোক্সিক্যাম দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর দায়ের করেন গজেন্দ্র। তদন্ত শুরু হলে জানা যায়, শ্রীকান্ত একা নন, এর আগে আরও এক রোগীকে পশু চিকিৎসার ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৩৭ (কারও জীবন বিপন্ন করে তোলা) এবং ৪১৭ (প্রতারণা) ধারায় মামলায় দায়ের করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ওই হাতুড়ে ডাক্তার। কেওনঝরের বাড়িতে গিয়েও তাঁর হদিশ মেলেনি। তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ।শ্রীকান্ত র অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)