Divorce Settlement: বিনা পারিশ্রমিকে স্ত্রীকে সংসারে খাটিয়েছেন, স্বামীকে ২ কোটি মেটানোর নির্দেশ আদালতের
Viral News: স্পেনের দক্ষিণের আন্দালুসিয়ার ঘটনা। ওই দম্পতির দুই কন্যা রয়েছে।
নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ২৫ বছরের দাম্পত্য শেষে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা। তাতে ঐতিহাসিক রায় শোনাল স্পেনের আদালত। বলা হয়েছে, বিনা পারিশ্রমিকে সংসারে স্ত্রীকে খাটিয়ে গিয়েছেন স্বামী। তাই ন্যূনতম পারিশ্রমিক ধরে, ২৫ বছরের হিসেব মিটিয়ে দিতে হবে তাঁকে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি টাকা (Divorce Settlement)। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেট দুনিয়া।
শ্রমের ন্যূনতম পারিশ্রমিক ধরে টাকা মেটানোর নির্দেশ
মঙ্গলবার স্পেনের একটি আদালত এই রায় শুনিয়েছে। স্বামীকে মোট ২০৪, ৬২৪.৮৬ ইউরো মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি টাকা। সে দেশের আইন অনুযায়ী, শ্রমের ন্যূনতম পারিশ্রমিক ধরে এই অঙ্ক মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Viral News)।
স্পেনের দক্ষিণের আন্দালুসিয়ার ঘটনা। ওই দম্পতির দুই কন্যা রয়েছে। বিশেষ সেপারেশন অফ প্রপার্টি রেজিম-এর আওতায় বিয়ে হয়েছিল তাঁদের, অর্থাৎ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ রোজগার নিয়ে আলাদা হওয়াইউ দস্তুর। তাই সাংসারিক জীবনে যৌথ ভাবে গড়ে তোলা সম্পত্তির উপর অধিকার হারাতে বসেছিলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: Flipkart Big Savings Days Sale: ফ্লিপকার্টের বিগ সেভিং ডে'জ সেল, কোন ফোনে কত ছাড় থাকছে?
কিন্তু বিয়ের পর থেকে সংসারেই চাপেই ডুবে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। রান্নাবান্না, ছেলেমেয়ে সামলানো, দায়দায়িত্ব পালন করেই কেটে গিয়েছে জীবন। নিজের জন্য কিছুই করতে পারেননি। পরিবারের পিছনে সময় না দিয়ে তিনি যদি সবচেয়ে কম পারিশ্রমিকে চাকরি করতেন, কত টাকা জমা হত তাঁর, তার একটি আনুমানিক হিসেব আদালতে জমা দেন ওই মহিলার আইনজীবী।
সবকিছু বিবেচনা করেই শেষ মেশ মহিলার স্বামীকে ন্যূনতম পারিশ্রমিক ধরে হিসেব মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। শুধু তাই নয়, দুই সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আলাদা করে মাসে খোরপোষও দিতে হবে স্বামীকে।
বিয়ের পর স্ত্রীর চাকরি করায় আপত্তি ছিল স্বামীর
সংবাদমাধ্যমে ওই মহিলা জানিয়েছেন, বিয়ের পর তাঁর চাকরি করায় আপত্তি ছিল স্বামীর। বরং স্বামীর খোলা জিম-এর হিসেবপত্র থেকে রক্ষণাবেক্ষণ, সবকিছু দেখভাল করতেন তিনিই। পাশাপাশি সংসারের সব কাজও করতে হতো তাঁকে। ফলে নিজের জন্য কিছুই করতে পারেননি তিনি। আদালতের রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। সংসারের পিছনে গোটা জীবন কাটিয়ে দেওয়ার পর, ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা পেলেন তিনি।