ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে বাদামের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। হৃদজনিত সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার-- একাধিক রোগ থেকে বাঁচতে হলে প্রতিদিন ২০ গ্রাম বাদাম খাওয়ার ওপর জোর দেন অনেক বিশেষজ্ঞই। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতিদিন বাদাম খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। একইভাবে, কর্কটরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে ১৫ শতাংশ এবং অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা কমে ২২ শতাংশ। তবে, সুফলের পাশাপাশি, বাদামের কিছু ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে। যে কারণে, বাদামের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় বলে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
2/5
যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সীমিত মাত্রায় খাবার খাওয়া উচিত। শরীরে একদিনে প্রায় ২৫ থেকে ৪০ গ্রাম ফাইবারের প্রয়োজন। আপনি যদি দিনে ৩-৪টি বাদাম খান, তাহলে তা আপনার শরীরে ফাইবারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। বেশি খেলে, পেটের সমস্যা যেমন কোষ্টকাঠিন্য ও আমাশার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বেশি বাদাম খেলে ব্লোটিংয়ের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
3/5
যদি কেউ ওষুধ নিয়ে থাকেন, এমন সময় বাদাম খাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আসলে, বাদামে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনিশিয়াম রয়েছে। ৩-৪টি বাদামে ০.৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। প্রতিদিন আপনার শরীরে ১.৮ থেকে ২.৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন। আপনি যদি তার চেয়ে বেশি বাদাম খান, তাহলে ওষুধের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। রক্তে বেশিমাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম অ্যান্টি-অ্যাসিড, ল্যাক্সেটিভ, রক্তচাপ ও বহু অ্যান্টি-বায়োটিক ও অ্যান্টি-সাইকোটিক ওষুধের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
4/5
বাাদাম সাধারণত ভিটামিন-ই তে ভরপুর। বেশি খেলে তার ফলে শরীরে ভিটামিনের ওভারডোজ হতে পারে। ভিটামিন-ই চুল ও ত্বকের জন্য ভাল। এটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সুরক্ষা করে। ৩-৪টি বাদাম আপনাকে ৭.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ই দিতে পারে। এর চেয়ে বেশি হলে, তা খারাপ হতে পারে শরীরের পক্ষে।
5/5
ওজন কমাতে সাহায্য করে বাদাম। তবে, এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি ও ফ্যাটও রয়েছে। ৩-৪টি বাদাম থেকে ১৬৮ ক্যালোরি ও ১৪ গ্রাম ফ্যাট পওয়া যায়। যদি আপনি প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খান, তাহলে প্রায় ৫০০-র বেশি ক্যালোরি ও ৪০-৫০ গ্রাম ফ্যাট সেবন করছেন আপনি। ফলে, যদি আপনি শরীরের ওজন কমাতে চান, তাহলে অল্পমাত্রায় বাদাম খান।