Heart Attack In Woman:হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ মানেই বুকে ব্যথা? নাও হতে পারে, কেন সতর্ক হবেন মহিলারা?

Health News:ডাক্তারদের অনেকে জানাচ্ছেন, নারীরা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে ক্ষেত্রবিশেষে বুকে ব্যথা ছাড়াও অন্য উপসর্গ থাকতে পারে। কী ভাবে চিনবেন সেগুলি?

হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ মানেই বুকে ব্যথা? নাও হতে পারে, কেন সতর্ক হবেন মহিলারা?

হার্ট অ্যাটাকের অন্য়তম চেনা উপসর্গ বুকে ব্যথা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অন্যতম 'কমন' উপসর্গ এটি, মানছেন ডাক্তারদের অনেকেই। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, নারীরা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে ক্ষেত্রবিশেষে বুকে ব্যথা ছাড়াও অন্য উপসর্গ থাকতে পারে। পুরুষদের থেকে এই ধরনের উপসর্গ নারীদের মধ্যে বেশ কিছুটা বেশি চোখেও পড়ে, বলছেন ডাক্তাররা।

ঘাড়, কাঁধ, চোয়ালের মতো জায়গায় ব্যথাও হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে। পেটের উপরের অংশ বা পিঠের উপরের দিকে কোনও অস্বস্তি হলে পরেও সতর্ক হওয়া দরকার। (ছবি:PIXABAY)

হার্ট অ্যাটাক হলে শ্বাস নিতে প্রবল অসুবিধা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও বড় উপসর্গ। এসব ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া জরুরি।

সাধারণ ভাবে অম্বলের সমস্যার সঙ্গে হজম বা বিপাকের গণ্ডগোলের সম্পর্ক থাকলেও বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকেরও উপসর্গ হতে পারে এটি।

মাথা ঝিমঝিম বা ঘোরানোর মতো ঘটনা ঘটছে? কোনও ধরনের চেনা কারণ ছাড়া যদি এমন হতে থাকে, তা হলে মহিলাদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

অস্বাভাবিক রকমের ক্লান্তিও হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হয়ে দেখা দিতে পারে। সব সময় যে বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ভাবই থাকবে, তা নয়।

এছাড়া, হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই তুমুল ঘেমেনেয়ে যাওয়া, দুই হাতে ব্যথা---এগুলি হলেও সতর্ক হওয়া দরকার। বিলম্ব না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে দ্রুত। তিনিই সাহায্য় করতে পারবেন। (ছবি:PIXABAY)

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করণীয়, সেটি অবশ্যই ডাক্তার বলবেন। কিন্তু এই সমস্যা যাতে আটকানো যায়, সে জন্য আগে থেকে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। যেমন এক্সারসাইজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্তত ৫০ মিনিট মাঝারি মানের কার্ডিও এক্সারসাইজ সমস্যা দূরে রাখতে কাজে দিতে পারে। তবে ব্যক্তিভেদে এক এক জনের এক এক রকম প্রয়োজনীয়তা হতে পারে। (ছবি:PIXABAY)

কী খাচ্ছেন, সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। ফল এবং সবুজ শাকসবজি যেন অবশ্যই ডায়েটে বেশি থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম এবং বাড়তি সুগারের পরিমাণ কমানো দরকার একই ভাবে। (ছবি:PIXABAY)

পরিশেষে, নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপও জরুরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। তা হলে, এই ধরনের অসুস্থতা ঠেকানো সম্ভভ অনেক ভাবেই।