‘যে শুয়ে থাকে, তার ভাগ্যও শুয়ে থাকে’। এমনই প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু পরিবর্তিত লাইফস্টাইলের কারণে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া ও ভোরে খুব থেকে ওঠার অভ্যেস অনেকেরই আর থাকে না।
2/10
বিশেষ করে, শীতের ভোরে লেপ-কম্বলের গরম ছেড়ে উঠতে অনেকেরই খারাপ লাগে।
3/10
তাই, কোনও কারণে ভোরে খুব থেকে উঠতে হলে অনেক সময়ই তা কঠিন হয়ে ওঠে। শীতের ভোরে অ্যালার্ম বেজেই চলে।
4/10
অনেকেই রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন বা অফিসের কাজ করেন। তাঁদের পক্ষে সকালে ওঠা খুবই কঠিন।
5/10
কিন্তু ভোরে খুব থেকে ওঠার কথা বলা হয় কেন? এর উপকার সম্পর্কে কি খোঁজখবর নিয়েছেন? দেখে নেওয়া যাক, ভোরে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা।
6/10
স্থুলত্ব দূর হয়- সূর্যোদয়ের সময় ঘুম থেকে ওঠা শরীরের পক্ষে বরদানের মতো। ভোরে উঠলে হাতে প্রচুর সময় থাকে। ফলে শরীরচর্চার সময় পাওয়া যায়। ওয়ার্কআউটের জন্য বেরোতে পারা যায়। সকালে শরীরচর্চা করলে শরীর সারাদিন সক্রিয় ও উদ্যমে ভরপুর থাকে। এতে খাবারও খুব ভালো হজম হয়।
7/10
অবসাদ ও উত্তেজনার অবসানে সহায়ক- আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, যাঁরা সময়ে ঘুমোন ও জাগেন, তাঁদের থেকে রোগ দূরে থাকে। চিকিৎসকরা মনে করেন, সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো। এতে শরীরে সতেজতা আসে ও হরমোন নিয়ন্ত্রিত হয়। সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে অবসাদ ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা দূরে থাকে। সকালের তাজা বাতাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ইতিবাচক এনার্জি অনুভূত হয়। শোয়া ও ঘুম থেকে ওঠা রুটিন মেনে হলে ঘুম ভালো হয়।
8/10
হার্টের সমস্যা দূরে থাকে- অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে হার্টের অসুস্থতার আশঙ্কা বাড়ে। কিন্তু সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যেস ও কিছুটা শরীর চর্চা এ সংক্রান্ত সমস্যার আশঙ্কা কম করে। শরীরচর্চার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক থাকে এবং ফেল হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।
9/10
ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ভালো হয়- সকালের হাওয়া অনেক বেশি তাজা থাকে। এজন্যই ফুসফুস সুস্থ রাখতে সকালে উঠে ব্যায়ামের পরামর্শ দেওয়া হয়। সমস্ত বয়সের লোকজনের ক্ষেত্রেই সকালে ওঠা স্বাস্থ্যকর। সকালে উঠে পার্ক বা খোলা জায়গায় হাঁটলে ফুসফুসে অধিক পরিমাণে তাজা বাতাস যায়। এতে ফুসফুস সুস্থ থাকে।
10/10
মানসিক সমস্যা দূরে থাকে- সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে দিনের সমস্ত পরিকল্পনা কষে নেওয়া যায়। ফলে মস্তিষ্কের উত্তেজনা বেশি থাকে না। ফলে ব্রেনে চাপ কম পড়ে। এরফলে ব্রেন হেমারেজ ও অন্যান্য মানসিক রোগের আশঙ্কা কম হয়।