দেশের ১৪ রাজ্যে ভ্যাকসিন সরাসরি সরবরাহ শুরু করল ভারত বায়োটেক। এই ১৪ রাজ্যগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্তিসগড়, দিল্লি, গুজরাত, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিনলাড়ু, তেলঙ্গনা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।
2/6
হায়দরাবাদের সংস্থা জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে আবেদন জমা পড়েছে, সেই অনুপাতে রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন বণ্টন করা হচ্ছে। সংস্থার যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সহ প্রতিষ্ঠাতা সুতিত্রা এল্লা বলেন, অন্যান্য রাজ্য় থেকেও বরাত এসেছে। আগে পাওয়া বরাতগুলি ছেড়ে এবং স্টক দেখে বাকিগুলিও বণ্টন হবে। তবে, কোন রাজ্য কত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে, তা খোলসা করেনি সংস্থা।
3/6
গত ২৪ এপ্রিল কোভ্যাকিসন নির্মাতা ভারত বায়োটেকও জানিয়ে দেয়, তারা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ ১৫০ টাকায় কেন্দ্রীয় সরকারকে বিক্রি করবে। রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকে প্রতি ডোজের দাম তারা নেবে ৬০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কিনতে হলে প্রতি ডোজের জন্য দিতে হবে ১২০০ টাকা।
4/6
এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। চাপে পড়ে, দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ভ্যাকসিনের দাম কমানোর আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে রাজ্যগুলির জন্য ভ্যাকসিনের দাম কমিয়ে ৪০০ টাকা করে ভারত বায়োটেক। ঠিক তার আগে, দেশের অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরামও জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকারগুলি ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজ পাবে ৩০০ টাকায়। বিদেশে রফতানির জন্য, কোভ্যাক্সিনের দাম রাখা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ মার্কিন ডলার।
5/6
প্রথম থেকেই কেন্দ্রকে ১৫০ টাকায় ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে সিরাম ও ভারত বায়োটেক। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, তারা এই দামেই সরকারকে ভ্যাকসিন দেবে। তবে, সিরাম জানিয়েছে, কেন্দ্রকে এবার তাদের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন ৪০০ টাকায় কিনতে হবে।
6/6
ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইনস্টিটিউট দুজনই জানিয়েছে, মোট উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে সরবরাহ করার জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।