Leonardo Da Vinci: নিজের বাড়ি থেকে বিক্রি, বার বার হাতবদল, যৌন ক্রীতদাসী ছিলেন দা ভিঞ্চির মা!

History: নবজাগরণের সূত্রধার তিনি। আজও নাম শুনলে শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসে মাথা। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনের অজানা কথা সামনে এল এ বার।

ছবি: পিক্সাবে।

সর্বকালীন সেরা চিত্রশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। উদ্ভাবক, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী হিসেবেও পরিচিতি লিওনার্দো দা ভিঞ্চির। ইতালির নবজাগরণের সূত্রধারও বলা যেতে পারে তাঁকে।

সেই লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই এ বার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। গবেষণায় উঠে এল, লিওনার্দোর মা আদতে ছিলেন একজন যৌন ক্রীতদাসী। যদিও বিষয়টি নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে।

লিওনার্দোকে নিয়ে সম্প্রতি ৬০০ বছরেরও পুরনো নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। ইতালিরই এক ইতিহাসবিদ সেই সবের আবিষ্কার করেছেন। সেই সব নথিপত্র অনুযায়ী, আসলে ককেশাস পার্বত্য অঞ্চলের তদানীন্তন সার্কেসিয়ার বাসিন্দা ছিলেন লিওনার্দোর মা ক্যাটেরিনা।

ইতালিতে সাহিত্য পড়ান কার্লো ভেকে। নিজের ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘দ্য স্মাইল অফ ক্যাটেরিনা, দ্য মাদার অফ লিওনার্দো’ লিখেছেন কার্লো। তাতে বিশদ তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি। শীঘ্রই একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে তা প্রকাশিত হতে চলেছে।

কার্লো জানিয়েছেন, সার্কেসীয় যৌন ক্রীতদাসী ছিলেন লিওনার্দোর মা ক্যাটেরিনা। ককেসাস পার্বত্য অঞ্চলে ছিল তাঁর বাড়ি। সেখান থেকে বিক্রি হয়ে যান ক্যাটেরিনা। তার পরও একাধিক বার হাতবদল হন।

শেষ মেশ তৎকালীন কনস্ট্যান্টিনপোল, অধুনা ভেনিসে এসে পৌঁছন। তার পর কালক্রমে এসে পৌঁছন ইতালির ফ্লোরেন্সে। সেখানে নোটারি পিয়েরো দা ভিঞ্চির সঙ্গে পরিচয় ঘটে, যিনি কিনা লিওনার্দোর বাবা।

লিওনার্দোর সেরা চিত্রকলা ‘মোনালিসা’। সেই অনুযায়ীই বইয়ের নামকরণ করেছেন কার্লো। আর সেই বই-ই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ এই তথ্য অনুযায়ী, লিওনার্দো অর্ধেক ইতালীয় ছিলেন, পুরোপুরি নয়।

এতকাল লিওনার্দোর বাবাকে নিয়েই গবেষণা হয়েছে। তাঁর মা অনাথ ছিলেন বলেই বার বার দাবি করে এসেছেন গবেষকরা। এক খামারবাড়িতে পিয়েরোর সঙ্গে ক্যাটেরিনার আলাপ হয় বলে দাবি করেছেন।

এতকাল ইতিহাসবিদদের দাবি ছিল, লিওনার্দোর বাবা এবং মায়ের কখনও বিয়েই হয়নি। অবিবাহিত অবস্থাতেই টাস্কেনিতে সন্তানের জন্ম দেন ক্যাটেরিনা। কিন্তু সব দাবি নস্যাৎ করে দিলেন কার্লো।

ফ্লোরেন্স সরকারের আর্কাইভ ঘেঁটে একটি শংসাপত্রও আবিষ্কার করেছেন কার্লো। তাতে দেখা গিয়েছে, ১৪৫২ সালের ২ নভেম্বর ওই শংসাপত্রে সই করেন পিয়েরো। যৌন ক্রীতদাসী ক্যাটেরিনার মুক্তির শংসাপত্র সেটি। যদিও সেই সময় অন্যের যৌন ক্রীতদাসীর সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া অপরাধ বলে বিবেচিত হতো। পিয়েরো ক্যাটেরিনাকে নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি কার্লোর।

যদিও কার্লোর এই আবিষ্কার নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না গবেষকরা। তাঁদের দাবি, সেই সময় যৌন ক্রীতদাসীদের মধ্যে ক্যাটেরিনা নামটি জনপ্রিয় ছিল। তাই শংসাপত্রে উল্লেখিত ক্যাটেরিনাই লিওনার্দোর মা, তা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।