এক্সপ্লোর
Science News: পাহাড়ের মেঘে বিষ, হতে পারে ক্যান্সারও, ঝুঁকি বেশি শিশুদের, বলছে সরকারি রিপোর্টই
Toxic Clouds: পাহাড়-পর্বতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে, বলছে সরকারি সংস্থারই রিপোর্ট। ছবি: ফ্রিপিক।
ছবি: ফ্রিপিক।
1/10

নিয়ম করে পাহাড়ে যেতে না পারলে চলে না। মনে মনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু সেই পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়াই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠল। কারণ গবেষণায় দেখা গেল, মেঘে মেঘে বিষ জমেছে। উঁচু পাহাড় বা পার্বত্য এলাকায়, তার সংস্পর্শে এলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে শরীরের। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
2/10

হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল হোক বা পশ্চিমঘাট অঞ্চল, ফি বছর পাহাড়-পর্বতের টানে ছুটে যান বহু মানুষ। দূষণমুক্ত বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস নেন সকলে, বরফে ঢাকা শৃঙ্গ, ভেজা সবুজ দেখে জুড়িয়ে যায় মন। পাহাড়ে যাওয়াকে স্বাস্থ্যকর বলেও মনে করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টই বলছে, পাহাড় পর্বত এখন স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়।
3/10

কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যাতে উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে। বলা হয়েছে, সমতল থেকে দূষিত ধাতব কণা মিশছে মেঘে। সেই মেঘ পাহাড়ের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে।
4/10

বোস ইনস্টিটিউটের অ্যাটমোস্ফিয়ারিক সায়েন্সেস বিভাগের গবেষকরা এই তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সমতল থেকে যে দূষিত পদার্থ, বিষাক্ত ধাতব উপাদান মিশছে, মেঘের দল তা পূর্বের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল এবং পশ্চিমঘাট অঞ্চলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
5/10

ফলে এতদিন পাহাড়ের যে পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর মনে করা হতো, তা আর স্বাস্থ্যকর থাকছে না। বরং পাহাড়ের পরিবেশে অসুস্থতা বাড়তে পারে। শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া থেকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
6/10

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ক্যাডমিয়াম (Cd), কপার (Cu), ক্রোমিয়াম (Cr), জিঙ্ক (Zn)-এর মতো ক্ষতিকর উপাদান মিশে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই মানুষের শরীরে রোগ বাসা বাঁধছে। পাহাড়ে মেঘ থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাও আর বিশুদ্ধ নয়।
7/10

মেঘবাহিত ক্ষতিকর উপাদান থেকে দীর্ঘমেয়াদি রোগ বাসা বাঁধতে পারে, তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে, আবার অন্য জটিল রোগও হতে পারে। বোস ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সনৎ কুমার দাস জানিয়েছেন, পূর্বের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের মেঘ সবচেয়ে বিষাক্ত, দক্ষিণের তুলনায় প্রায় ১.৫ গুণ বেশি। যানবাহন এবং শিল্পবর্জ্য থেকে নির্গত ধাতব কণা মিশে গিয়ে বিষের মাত্রায় ৪০-৬০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
8/10

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই বিষাক্ত কণাগুলি শরীরে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে পূর্বের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে। ক্রোমিয়াম মেঘে মিশে গিয়ে ক্যান্সার বাড়ছে। ক্যাডমিয়াম, কপার এবং জিঙ্ক থেকে অন্য জটিল রোগ হচ্ছে। ফুসফুস, কিডনি, যকৃতের ক্ষতি হতে পারে, হতে পারে ক্যান্সারও।
9/10

রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি। শুধুমাত্র শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেই নয়, স্পর্শ, খাবারের মাধ্যমেও রোগ ঢুকছে শরীরে। উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে জলী. বাষ্প থেকে জল ধরা হয় যেখানে, সেখানে বিপদ বেশি।
10/10

Environmental Advances জার্নালেও গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। তবে চিন, ইতালি, এবং আমেরিকার তুলনায় ভারতের আকাশের মেঘ তুলনামূলক কম বিষাক্ত বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তথ্যসূত্র: https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2151264
Published at : 07 Aug 2025 08:06 PM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement























