![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Kalpataru Utsav : কল্পতরু বৃক্ষ আসলে কী ? কেন রামকৃষ্ণের সঙ্গে জড়িয়ে গেল কল্পতরুর নাম?
Ramakrishna : কল্পতরু সেই বৃক্ষ, যার কাছে ভালো-খারাপ, যা চাওয়া যায়, তা-ই মিলবে। স্বামী ব্রহ্মানন্দের কথায়, “দেবত্ব চাইলে দেবত্ব, পশুত্ব চাইলে পশুত্ব।”
![Kalpataru Utsav : কল্পতরু বৃক্ষ আসলে কী ? কেন রামকৃষ্ণের সঙ্গে জড়িয়ে গেল কল্পতরুর নাম? Kalpataru Utsav 2014 Sri Ramakrishna What is Kalpataru Know its significance Kalpataru Utsav : কল্পতরু বৃক্ষ আসলে কী ? কেন রামকৃষ্ণের সঙ্গে জড়িয়ে গেল কল্পতরুর নাম?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/01/01/31ad9ebf79850f10a92f3b0e6d438e3f170407571144553_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা : কল্পতরু কী ? যা খুশি তাই চাওয়ার দিন ? এমনটাই মনে করেন অনেকে। আর ঠাকুরের কাছে সব বাসনা নিয়ে লাইন দিয়ে প্রার্থনা জানান ভক্তরা। কিন্তু ঠাকুর কী চাওয়ার কথা বলেছিলেন ? অর্থ, যশ, খ্যাতি , মান ? না ঠাকুর বিতরণ করতে চেয়েছিলেন চৈতন্য।
১ জানুয়ারি, ১৮৮৬। কাশীপুর উদ্যানবাটী। গৃহী ভক্তরা ঘিরে ধরে রয়েছেন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসকে। চলছে একের পর এক প্রশ্নোত্তর পর্ব। উত্তর দিচ্ছেন ঠাকুর। ভক্তকুলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গিরীশ ঘোষও। ঠাকুরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তুমি আর কেউ নও, নররূপধারী পূর্ণব্রহ্ম ভগবান। আমার মত পাপীতাপীদের মুক্তির জন্য নেমে এসেছ।” এই কথার প্রত্যুত্তর করলেন ঠাকুর। বললেন, “এ আর তোমাদের কী বলিবে? তোমাদের চৈতন্য হউক।” এরপরই সমাধিস্থ হলেন রামকৃষ্ণদেব। আর তাঁর গৃহীভক্তরা ঠাকুরের শরণে ধন্য হন। সেদিন ভক্তদের চৈতন্যদান করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তাঁর এক গৃহী ভক্তের কথায়, ঠাকুর তাঁদের চৈতন্যদান করামাত্রই প্রত্যেকের মনেই ইচ্ছাপূরণের এক অত্যাশ্চর্য প্রতিফলন ঘটতে থাকে। সেদিন ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হওয়ার পরই ভক্তরা বলতে থাকেন “ওরে, কে কোথায় আছিস? শিগগির ছুটে আয়! ঠাকুর আজ কল্পতরু হয়েছেন।” সেই থেকে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ইংরেজি নববর্ষের দিন পালিত হয়ে আসছে। কল্পতরু দিবস।
কিন্তু কী এই কল্পতরু বৃক্ষ?
পুরাণ বলে, ইন্দ্রের উদ্যানের পারিজাত বৃক্ষই ‘কল্পতরু’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ সেই বৃক্ষ, যার কাছে ভালো-খারাপ, যা চাওয়া যায়, তা-ই মিলবে। স্বামী ব্রহ্মানন্দের কথায়, “দেবত্ব চাইলে দেবত্ব, পশুত্ব চাইলে পশুত্ব।” “হরিবংশ” ইত্যাদি পুরাণে এই ‘কল্পতরু’র উল্লেখ রয়েছে। সমুদ্র মন্থনকালে অমৃত, লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত, কৌস্তুভ মনি ইত্যাদির সঙ্গে উঠে আসে একটি বৃক্ষ-ও। পারিজাত বৃক্ষ। যা পরবর্তীতে দেবরাজ ইন্দ্রের বিখ্যাত নন্দনকাননের শোভা বর্ধন করেছিল, এমনটাই জানা যায়।
সেই বছরই দীর্ঘ রোগভোগের পর নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। ১৮৮৬ এ ১৬ অগাস্ট শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব প্রয়াত হন। তিনি তাঁর জীবন দিয়ে মানুষকে দিয়ে গিয়েছিলেন নানারকম শিক্ষা। ঠাকুর বলেছিলেন, গীতায় যে নিষ্কাম কর্মের কথা বলা হয়েছে, সেই দর্শনই ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “তুমি যে-সব কর্ম করছ, এ-সব সৎকর্ম। যদি ‘আমি কর্তা’ এই অহংকার ত্যাগ করে নিষ্কামভাবে করতে পার, তাহলে খুব ভাল। এই নিষ্কামকর্ম করতে করতে ঈশ্বরেতে ভক্তি ভালবাসা আসে। এইরূপ নিষ্কামকর্ম করতে করতে ঈশ্বরলাভ হয়।''
আরও পড়ুন :
১ জানুয়ারি শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের কী দিতে চেয়েছিলেন? কেন পালন হয় কল্পতরু উৎসব?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)