Chandrayaan 3 Landing LIVE: চাকা গড়াল 'প্রজ্ঞান'এর, চাঁদের মাটিতে অশোক স্তম্ভের ছাপ
Chandrayaan 3 Landing Live Updates: চন্দ্রপৃষ্ঠে আজ অবতরণ চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের। ভারতের দিকে নজর গোটা বিশ্বের।
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: ইতিহাস গড়ার পথে ভারত। আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। উপগ্রহের বুকে এই নিয়ে তৃতীয় অভিযান ভারতের, যাকে ঘিরে উদ্দীপনা তুঙ্গে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO জানিয়েছে, বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে পালকের মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার 'বিক্রম'। (Chandrayaan 3 Landing LIVE)
শূন্য় থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। ISRO জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের মানুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের অবতরণ দেখতে পারবেন সরাসরি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ২৭ মিনিটে ISRO-র ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। ISRO-র ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের অবতরণ। এর পাশাপাশি DD National টিভি চ্যানেলেও দেখানো হবে সরাসরি। (Chandrayaan 3 Landing Broadcast)
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব যখন ২৫ কিলোমিটার হবে, সেই সময়ই চন্দ্রযানকে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই মুহূর্তে শূন্যে অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করছে চন্দ্রযান-৩। অবতরণের সময় অবস্থান হবে উল্লম্ব। উল্লম্ব ভাবে অবতরণ করালেই পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ানো সম্ভব চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে। (Chandrayaan 3 Landing Live Updates)
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় মহাকাশযানের গতি শ্লথ রাখা হবে। প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার গতিতে নামানো হবে নীচের দিকে, ঘণ্টার হিসেবে যা ৬০৪৮ কিলোমিটার। মহাজগতের নিরিখে এই গতি শ্লথ হলেও, পৃথিবীতে বিমানের গতির তুলনায় অবতরণের সময় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের গতি প্রায় ১০ গুণ বেশি থাকবে।
চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে দূরত্ব যত কমবে, ততই গতি কমিয়ে আনা হবে ল্যান্ডার 'বিক্রমে'র। বিজ্ঞানের ভাষা এই পর্যায়কে বলা হয় 'রাফ ব্রেকিং'। অবতরণের সময় চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের এই 'রাফ ব্রেকিং'-এর জন্য ১১ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পর শুরু হবে 'ফাইন ব্রেকিং' পর্যায়, ঠিক যে পর্যায়ে চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।
দূরত্ব কমে যখন ১৫০ মিটারে পৌঁছবে, চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, যা দেখে অবতরণের উপযুক্ত জায়গা বেছে নেওয়া হবে। তাতে বসানো সেন্সর চন্দ্রভূমির স্পর্শ পেলে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। চাদের মাটিকে বলা হয় রেগোলিথ। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার 'প্রজ্ঞান'। তবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর নিজ নিজ জায়গায় থিতু হয়ে, সবার আগে পরস্পরের সেলফি তুলবে 'বিক্রম' এবং 'প্রজ্ঞান'। মুহূর্তের মধ্যেই তা হাতে এসে পৌঁছবে ISRO-র বিজ্ঞানীদের।
ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান' চাঁদের বুকে এক চন্দ্রদিবস অতিবাহিত করবে, পৃথিবীর হিসেবে যা ১৪ দিন। সব ঠিক থাকলে, চন্দ্রপৃষ্ঠে পালকের মতো অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠবে ভারতের।
ISRO News: চন্দ্রযান ৩ - এর সাফল্যে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছাবার্তা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩। প্রথমে ল্যান্ডার বিক্রম তারপর রোভার প্রজ্ঞান, দু'ক্ষেত্রেই সফল অবতরণ হয়েছে। আর সেই প্রসঙ্গেই ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ISRO Chandrayaan 3 Mission Live: প্রজ্ঞান রোভারের চাকায় রয়েছে অশোর স্তম্ভের প্রতীক
প্রজ্ঞান রোভারের চাকায় রয়েছে অশোর স্তম্ভের প্রতীক। চাঁদের মাটিতে পথচলা শুরু করতেই সেখানে ছাপ পড়ছে অশোক স্তম্ভের। বুধবার থেকেই শুরু হল চন্দ্রদিন। অর্থাৎ চাঁদের দিন। ওই সময় চাঁদের ওই প্রান্তে পড়বে সূর্যের হালকা আলো। সেই আলোকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ১৪ দিন যা চাঁদের নিরিখে এক চন্দ্রদিন কাজ করবে চন্দ্রযান-৩।
ISRO News: চাকা গড়াল 'প্রজ্ঞান'এর, চাঁদের মাটিতে অশোক স্তম্ভের ছাপ
চাকা গড়াল 'প্রজ্ঞান'এর, চাঁদের মাটিতে অশোক স্তম্ভের ছাপ
ISRO Chandrayaan 3 Mission Live: আরও কিছুক্ষণ পরে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার
এখন চাঁদের মাটিতে শক্তি সঞ্চয় করছে বিক্রম। ঘণ্টাদুয়েক পরে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার।
ISRO News: অধোগমনের সময়ও ক্যামেরাবন্দি চন্দ্রপৃষ্ঠ, ছবি পাঠাল ল্যান্ডার 'বিক্রম'
চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর ISRO-র দফতরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ল্যান্ডার বিক্রমের। অধোগমনের সময় তোলা ছবিও পাঠাল সে। প্রকাশ করল ISRO. খানাখন্দে ভরা ধূসর চন্দ্রপৃষ্ঠের ঝলক পাওয়া গিয়েছে তাতে।