Science News: কাচের বোতলেই বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক, শরীরে বিষ ঢুকছে পানীয় থেকে, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
Microplastic in Glass Bottle: ফ্রান্সের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা শুক্রবার এই তথ্য় সামনে এনেছে। কাচের বোতলে বন্দি পানীয় নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন গবেষকরা।

নয়াদিল্লি: জলের সঙ্গে শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই সময়ের সঙ্গে প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার কমেছে। ধাতব বোতল ব্য়বহার করেন কেউ, কেউ আবার ভরসা করেন কাচের বোতলকে। কিন্তু এবার কাচের বোতলে বন্দি পানীয় নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য় সামনে এল। কাচের বোতলে বন্দি জল, সোডা, বিয়ার এবং ওয়াইনে প্লাস্টিক বোতলের চেয়েও বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে বলে জানা গেল। (Science News)
ফ্রান্সের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা শুক্রবার এই তথ্য় সামনে এনেছে। কাচের বোতলে বন্দি পানীয় নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন গবেষকরা। সেই গবেষণায় যে তথ্য় মিলেছে, তা দেখে হতভম্ব সকলেই। ফ্রান্সের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থার গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর Guillaume Duflos জানিয়েছেন, ফ্রান্সের বাজারে বিক্রিত বিভিন্ন ধরনের পানীয়ে কত মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে, তা জানতেই শুরু হয় গবেষণা। কোন পাত্র, কতটা ক্ষতিকর, তাও খতিয়ে দেখা হয়। (Microplastic in Glass Bottle)
আর তাতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন Guillaume. গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ১ লিটার সফ্ট ড্রিঙ্কস, লেমোনেড, আইসড টি, বিয়ার ভর্তি কাচের বোতলে গড়ে ১০০টি করে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা রয়েছে। সাধারণ প্লাস্টিকের বোতল এবং ধাতব ক্যানের চেয়ে তা ৫ থেকে ৫০ গুণ বেশি বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন Ph.D পড়ুয়া Iseline Chaib. তিনি জানিয়েছেন, একেবারে উল্টো ফল হাতে এসেছে তাঁদের। AFP-কে তিনি বলেন, “একেবারে উল্টো ফল দেখলাম। কাচের বোতলের নমুনা ঘেঁটে দেখলাম কণাগুলির আকার, রং, উপাদান প্লাস্টিকের বোতলের মতোই। কাচের বোতলের মুখে থাকা সিল ক্যাপও একই।”
গবেষকরা জানিয়েছেন, কাচের বোতলের মুখে যে ক্যাপ বা ঢাকনা বসানো থাকে, তার যে রং, তাতে আঁকিবুকি চোখে পড়ে তাঁদের। খালি চোখে যদিও সেগুলি ধরা পড়ে না। একজায়গায় রাখার সময় ঘর্ষণে আঁচড় লেগে থাকবে। সেখান থেকেই প্লাস্টিকের কণা পানীয়ে মিশতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, জলের ক্ষেত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিক সবচেয়ে কম ছিল। প্রতি লিটার কাচের বোতলে ৪.৫, প্লাস্টিকের বোতলের ক্ষেত্রে যা ১.৬। কাচের বোতলে বন্দি ওয়াইনেও মাইক্রোপ্লাস্টিক কম। এর কারণ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে কাচের বোতল বন্দি সফ্ট ড্রিঙ্কেই সবচেয়ে বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে, প্রতি লিটারে ৩০। লেমোনেড এবং বিয়ারের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৪০ ও ৬০।
এখনও পর্যন্ত খালি চোখে দেখা যায় না এমন মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে বাতাসে, খাবারেও, যা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তুকত মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে জন্য বিষ, তার নির্দিষ্ট কোনও মাত্রা এখনও ঠিক করা যায়নি। তাই ঝুঁকি ঠিক কতটা, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে নারাজ গবেষকরা। তবে তাঁদের মতে, কাচের বোতলের মুখে কোন ক্যাপ বসানো হচ্ছে, তা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। বোতলের ক্যাপ খুলে, তা জল এবং অ্যালকোহল দিয়ে ধুয়েও দেখেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, এতে বিষের মাত্রা ৬০ শতাংশ কমে যায়।























