Solar Explosions: সূর্যপৃষ্ঠে পর পর তীব্র বিস্ফোরণ, ক্যামেরাবন্দি করল NASA
Sun Explosions: সূর্যপৃষ্ঠের ভয়ঙ্কর ওই বিস্ফোরণের প্রভাব এসে পড়েছে পৃথিবীতেও।
নয়াদিল্লি: সূর্যের বুকে ভয়ঙ্কর দুই বিস্ফোরণের ছবি প্রকাশ করল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. শুক্র এবং শনিবার সূর্যের বুকে দুই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। পৃথীবার সময় অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৯টা বেজে ২৩ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে, দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে শনিবার সকাল ৭টা বেজে ৪৪ মিনিটে। NASA-র Solar Dynamics Observatory সেই বিস্ফোরণের ছবি তুলেছে। X5.8 এবং X1.5 গোত্রের ওই দুই বিস্ফোরণের ছবি সর্বসমক্ষে আনা হয়েছে। (Solar Explosions)
সূর্যপৃষ্ঠের ভয়ঙ্কর ওই বিস্ফোরণের প্রভাব এসে পড়েছে পৃথিবীতেও। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এসে আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী সৌরকণা। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র যদিও বায়ুমণ্ডলেই তাকে রুখে দিয়েছে। যেবায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরের গ্য়াসের সঙ্গে ঘর্ষণ বেধে লক্ষ লক্ষ আগুনের ফুলকিতে পরিণত হয় সৌরকণাগুলি, যা মেরুজ্যোতি রূপে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর আকাশে। কোথাও লাল, কোথাও সবুজ, কোথাও বেগুনি, কোথাও আবার গোলাপি রঙের আলোর নাচ দেখা গিয়েছে রাতের আকাশে। (Sun Explosions)
তবে পৃথিবীর আকাশে মেরুজ্যোতি মোহময়ী রূপে ধরা দিলেও, তার প্রভাব মারাত্মক হতে পারত বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই আবহেই সূর্যের বুকে দুই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ছবি সামনে আনল NASA. ওই দুই বিস্ফোরণকে X5.8 এবং X1.5 গোত্রের বিস্ফোরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা, যা আসলে সৌরশিখার তীব্রতার মাপকাঠি। গত দু'দিনে সৌরশিখার তীব্রতা এযাবৎকালীন সর্বোচ্চ ছিল বলে জানিয়েছে NASA.
The Sun emitted two strong solar flares on May 10-11, 2024, peaking at 9:23 p.m. EDT on May 10, and 7:44 a.m. EDT on May 11. NASA’s Solar Dynamics Observatory captured images of the events, which were classified as X5.8 and X1.5-class flares. https://t.co/nLfnG1OvvE pic.twitter.com/LjmI0rk2Wm
— NASA Sun & Space (@NASASun) May 11, 2024
যে কারণে রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানির মতো দেশের মানুষ যেমন মরুজ্যোতি দেখতে পান, তেমনই ভারতের লাদাখের হানলের আকাশেও রক্তিমবর্ণ মেরুজ্যোতি দেখা যায়। গভীর রাতে পৃথিবীর আকাশে দুই রকমের মেরুজ্যোতি চোখে পড়ে, মেরুজ্যোতি বোরিয়ালিস এবং মেরুজ্যোতি অস্ট্রেলিস। মেরুজ্যোতি বোরিয়ালিস দেখা যায় উত্তর মেরুতে। মেরুজ্যোতি অস্ট্রেলিস দক্ষিণ মেরু থেকে দেখা যায়। সূর্যপৃষ্ঠে AR3664 নামের একটি গর্তের বিস্তার ক্রমশ বাড়ছে, তার জেরেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অভিযুক্ত সৌরকণা আছড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূর্যপৃষ্ঠে এই বিস্ফোরণের ফলে নিঃসৃত সৌরকণাই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। পৃথিবীর বায়ুণ্ডল ফুঁড়ে ঢুকে পড়লে, তা থেকে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারত। প্রাথমিক ভাবে রেডিও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগের উপর প্রভাব পড়ত, মহাকাশে বিরাজমান মহাকাশযান এবং মহাকাশচারীদের প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল। কিন্তু লাগাতার এই বিপদ থেকে পৃথিবীবাসীকে রক্ষা করে আসছে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র। সমমেরু বিকর্ষণের জেরে সৌরকণাদের ঠেরিয়ে দেয় এটি। পৃথিবীর মেরুঅঞ্চলের বর্মের মতো ঘিরে রেখেছে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র, তার জেরেই বিপদ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে।