(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
মাচো হিন্ট – ফ্যাশন বড়ে আরাম সে
MACHO HINT : দুহাজার আঠেরো সালের সেপ্টেম্বর মাসে আত্মপ্রকাশ করে নতুন এবং স্টাইলিশ প্রোডাক্ট - মাচো হিন্ট । বিশেষত জেন নেক্সটের প্রত্যাশাকে মাথায় রেখে এবং সাধারণভাবে মধ্যমবর্তী ক্যাটেগরির চাহিদাপূরণে ডিজ়াইন করা হয়েছে মাচোহিন্টকে। ফ্যাশনদুনিয়ায় নতুন ট্রেন্ড মাচো হিন্ট।
কলকাতা : বড়ে আরাম সে - এটার সঙ্গে পরিচিত তো আপনারা অনেকেই। আর সেই পরিচিতি আপনাদের কাছে এনে দিয়েছে 'মাচো'। দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড । পুরুষদের অন্তর্বাস মানেই অগ্রগণ্য দেশের অন্যতম এই ব্র্যান্ড - মাচো। সেই দু'হাজার পাঁচ সালে শুরু। তারপর থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রোডাক্টের প্রতিযোগিতার এই বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলতে এই ব্র্যান্ড সক্ষম হয়েছে । হয়ে উঠেছে সর্বাধিক বিক্রিত এবং সবথেকে দ্রুত বেড়ে ওঠা অন্তর্বাস ব্র্যান্ড। পুরুষদের অন্তর্বাস ক্যাটেগরিতে বাজারে কী তীব্র প্রতিযোগিতা, তা সবার জানা আর সেই প্রতিযোগিতার মধ্যে মাত্র পনেরো বছর ব্যবসা করেই কোনও ব্র্য়ান্ডের স্বীকৃতিলাভ ব্যতিক্রমী প্রাপ্তি তো বটেই। মাচো আজ মধ্যমবর্তী অন্তর্বাস ক্যাটেগরির বাজারে শীর্ষস্থানে। কারণ গুণগত মানে, নতুন নতুন উদ্ভাবনে এবং নজিরবিহীন যোগাযোগে সে সেরা ।
নিটওয়্য়ার ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বস্ত নাম জে.জি হোসিয়ারি। আর ব্র্যান্ড মাচো এই সংস্থারই উদ্ভাবন। জে.জি হোসিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড। সেই ১৯৮০ সাল থেকে নিটওয়্য়ার ইন্ডাস্ট্রিতে পসার এই সংস্থার। এই সংস্থারই অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড আমুল এবং স্পোর্টো।
মাচোর সামগ্রী মূলত তৈরি হয় কম্পানির কলকাতার প্ল্যান্টে। যেখানে কাজ করেন দুই হাজারেরও বেশি কর্মী। রয়েছে আনুষঙ্গিক আরও আড়াইশোটি ইউনিট। যেখানে কাজ করেন চার হাজারেরও বেশি কর্মী। প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক, উচ্চ স্তরের প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। কাজ হয় জার্মানি, ইট্যালি, জাপান থেকে আমদানিকৃত উন্নত প্রযুক্তির মেশিনে।
বিশ্বমানের গুণমান নিশ্চিত করতে কোনওরকম চেষ্টার ত্রুটি রাখে না মাচো। মাচোর প্রতিটি প্রোডাক্টকে প্রতিটি স্তরে নিখুঁত গুণমান পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি গ্রাহক সমীক্ষা করে হয়েছিল। তাতে সংশ্লিষ্ট ক্যাটেগরিতে গুণমানে সেরার স্বীকৃতি অর্জন করে মাচো ব্র্যান্ড।
তবে শুধু গুণমানেই নয়, বৈচিত্র্যে, সাধ্যে এবং নতুনত্বেও সেরা মাচো। ব্র্যান্ডের বাছাই প্রচুর সামগ্রী যা ইতিমধ্যেই বিদ্যমান তা তো রয়েইছে, চলতি বছরে ফ্যাশন মহলে সাড়া ফেলবে মাচোর নতুন কালেকশনও। ট্র্যাক, শর্টস এবং বারমুডা সহ আরও অন্যান্য প্রোডাক্টের ক্রম-বর্ধমান চাহিদা মিটিয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে সদা সচেষ্ট মাচো। তাতে দামও থাকবে সাধ্যের মধ্যে আর অন্তর্বাস হবে ফ্যাশনেবলও।
একটু তাড়াতাড়িই এই ব্র্যান্ডের সাফল্য পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, ডিজ়াইন, রং এবং প্যাটার্নের ব্যাপ্তি। অত্য়াধুনিক ও সাম্প্রতিক ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, নতুন উদ্ভাবনী ক্ষমতা, আরাম, প্রোডাক্টের গুণমান রক্ষা এবং নিত্যনতুন উন্নয়ন প্রক্রিয়া এই সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়়িত।
এই দায়বদ্ধতা এবং উত্সর্গকৃত মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে দুহাজার আঠেরো সালের সেপ্টেম্বর মাসে আত্মপ্রকাশ করে নতুন এবং স্টাইলিশ প্রোডাক্ট - মাচো হিন্ট । বিশেষত জেন নেক্সটের প্রত্যাশাকে মাথায় রেখে এবং সাধারণভাবে মধ্যমবর্তী ক্যাটেগরির চাহিদাপূরণে ডিজ়াইন করা হয়েছে মাচোহিন্টকে। ফ্যাশনদুনিয়ায় নতুন ট্রেন্ড মাচো হিন্ট।
মাচোর সফলতার পিছনে আরও একটি গুরুত্ববহ কারণ রয়েছে। তা হল এর ট্রেন্ডসেটিং কমিউনিকেশন। বিইং ইরেসিস্টেবল (being “irresistible”) থেকে ইয়ে তো বড়া টোইং হ্যায় (“Yeh toh bada toing hain”), সইফ আলি খানের বড়ে আরাম সে (“Bade aaram se”) থেকে বর্তমান ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর টাইগার শ্রফের হাত ধরে গ্রাহক-যোগাযোগে নতুন মাত্রা তৈরি করেছে মাচো। মাচোর নানা নজির ছুঁতে এখনও চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিযোগীরা। এখানেই শেষ নয়, মাচোর এগিয়ে চলায় নতুন পালক যোগ করেছে নানা সম্মান। যেমন দেশের মোস্ট প্রমিসিং ব্র্যান্ড (২০১৪-২০১৫) এবং মাস্টার ব্র্যান্ড (২০১৪-১৬) পুরস্কারের প্রাপ্তি এই জয়যাত্রার স্বীকৃতি।
আর দেশের বাজারে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে, দক্ষিণ-এশীয়, মিডল-ইস্ট এবং আফ্রিকার দেশগুলিতেও পদচিহ্ন আঁকতে শুরু করেছে মাচো ব্র্যান্ড। প্রচেষ্টা, সবসময় সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। কারণটা একটাই। শুধুমাত্র স্কাই ইজ় দ্য লিমিট।
(বিজ্ঞাপনমূলক প্রতিবেদন। এবিপি লাইভ কর্তৃক সম্পাদিত নয়)