AFC Cup: সবুজ-মেরুন শিবিরে হতাশার দিনে বসুন্ধরাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ওড়িশা
Odisha FC: সোমবার ঘরের মাঠে জয়ের ফলে এএফসি কাপের গ্রুপ ডি-তে ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ওড়িশা এফসি।
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে এএফসি কাপের (AFC Cup) আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ওড়িশা এফসি (Odissa FC)। সোমবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে তারা ১-০-য় জিতে গ্রুপ সেরা হিসেবে টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে গেল। গত মরশুমে এই সন্মান অর্জন করেছিল কলকাতার মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, যারা এদিন অপর ম্যাচে মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি-র কাছে ০-১-এ হেরে গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকে এএফসি কাপ অভিযান শেষ করল।
সোমবার ঘরের মাঠে জয়ের ফলে এএফসি কাপের গ্রুপ ডি-তে ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ওড়িশা এফসি। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে তিনটি জয় ও একটি ড্রয়ের ফলে দশ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হল বসুন্ধরা কিংস-কে।
এ দিন ৬১ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে আকাঙ্খিত জয় এনে দেন সেনেগাল থেকে আসা ওড়িশার দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মুর্তাদা ফল। আহমেদ জাহুর কর্নারে নিখুঁত হেড করে গোলটি করেন ফল। গত মরশুমে সুপার কাপ জেতার ফলে এ বারেই প্রথম এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ওড়িশা এবং প্রথমবারেই তারা ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিল। এই কৃতিত্বের অনেকটাই দাবি করতে পারেন তাদের স্প্যানিশ কোচ সের্খিও লোবেরা।
এ দিন বিরতির ঠিক আগে আহমেজ জাহুকে অবৈধ ভাবে পিছন থেকে আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন বসুন্ধরার বিদেশি মিডফিল্ডার আসরর গফুরভ। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের দশজনে খেলতে হয়। প্রতিপক্ষের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই ওড়িশা জয়সূচক গোলটি করে। ঘরের মাঠে সারা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে রীতিমতো দাপুটে জয় পায় তারা।
ওড়িশা যেমন এ দিন বল পজেশনে (৫৩-৪৭) এগিয়ে ছিল, তেমনই আক্রমণের তীব্রতা ও ধারাবাহিকতার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে ছিল তারা। তারা যেখানে সারা ম্যাচে ১৬টির মধ্যে পাঁচটি শট গোলে রাখে, বসুন্ধরা সাতটির মধ্যে একটির বেশি শট গোলে রাখতে পারেনি। ক্রসের দিক থেকেও প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে (২৮-৭) এগিয়ে ছিল লোবেরার দল। ফলে যোগ্য দল হিসেবেই এ দিন ম্যাচ জেতে তারা।
মোহনবাগানের হার
মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের কাছে এ দিন ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। জিতলে বা হারলেও এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না। তাই সোমবার মালে-তে পুরোপুরি জুনিয়রদের নিয়ে তৈরি দল নামায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং মাজিয়া এসআরসি-র কাছে হেরেও যায়। গ্রুপ পর্বে মাজিয়া তাদের একমাত্র জয় পেল ১-০-য়।
মাত্র ১৩ জনের স্কোয়াড নিয়ে এই ম্যাচের জন্য মালে-য় গিয়েছিল কলকাতার দল। সিনিয়র দলের অনেকেরই চোট। তা ছাড়া এই ম্যাচের কোনও গুরুত্বও ছিল না। সর্বোপরি, সামনে আইএসএলের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগান এসজি-র সামনে। তাই জুনিয়রদের নিয়েই এই ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তবে মাজিয়া তাদের গ্রুপ পর্বের একমাত্র জয় পাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের প্রথম দলই নামায়।
প্রত্যাশিত ফলই হয়। তবে ব্যবধান ১-০-র বেশি হতে দেননি সবুজ-মেরুন বাহিনীর ফুটবলাররা। বিশেষ করে গোলকিপার অর্শ আনোয়ার শেখ এ দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। সারা ম্যাচে ন’টি সেভ করেন তিনি। আক্রমণাত্মক মাজিয়াকে প্রায় একা হাতে সামলান এই তরুণ গোলকিপার।
আরও পড়ুন: ধোনির বুড়ো হাড়ে ভেল্কি, কোহলির কীর্তি, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ২২ গজের ২০২৩
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।