অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত, ‘সব ধরনের ক্রিকেট খেলব’, হায়দরাবাদ বোর্ডকে চিঠি অম্বাতি রায়ডুর
৫৮ দিনের মাথায় নিজের অবসর ভেঙে আবার ফিরে আসার সিদ্ধান্ত জানালেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
হায়দরাবাদ: এপ্রিলে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান অম্বাতি রায়ডু। এরপর বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ না পেয়ে ৩ জুলাই অবসর ঘোষণা করেন তিনি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন দক্ষিণী এই ক্রিকেটার। ৫৮ দিনের মাথায় নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে আবার ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এএনআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অম্বাতি রায়ডু হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরতে চান। খেলতে চান টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি। চিঠিতে রায়ডু জানিয়েছেন, “কঠিন সময়ে আমার পাশে থাকার কারণে আমি সিএসকে, ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং নোয়েল দ্রাবিড়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মধ্যে এখনও অনেকটা ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে, তাঁরাই আমাকে বুঝিয়েছেন। আমি আবেগের বশে তাড়াহুড়ো করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
Ambati Rayudu in a letter to Hyderabad Cricket Association: I would like to come out of retirement and play cricket in all formats. (file pic) pic.twitter.com/OVzaPjEnqx
— ANI (@ANI) August 30, 2019
রায়ডুর এই চিঠির কথা স্বীকার করেছেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম উপদেষ্টা অধ্যাপক রত্নাকর শেট্টি। পিটিআই-কে তিনি জানিয়েছেন, “অম্বাতি রায়ডু তাঁর অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে রায়ডু জানিয়েছেন, হায়দরাবদের হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেটই তাঁকে পাওয়া যাবে।” ৩৩ বছরের এই ক্রিকেটারের অবসর ভেঙে ফিরে আসার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অধ্যাপক শেট্টি।
প্রাক্তন ক্রিকেটার নোয়েল দ্রাবিড়ও একই রকমভাবে রায়ডুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এটা দারুণ খবর। তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ এবং ক্লাস ক্রিকেটারকে পেয়ে হায়দরাবাদ দল আরও সমৃদ্ধ হবে। আশা করছি, রায়ডু দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে।”
প্রথমে অবসরের সিদ্ধান্ত, আবার সেই সিদ্ধান্ত ভেঙেই ক্রিকেটে ফেরা। অতীতে এমন দৃষ্টান্ত রেখেছেন অনেক কিংবদন্তীই। যেমন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান। ১৯৮৭ সালে অবসর নেওয়ার পর বিরানব্বইয়ের বিশ্বকাপে ফিরে আসা এবং প্রথমবার দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে অবসর ভেঙে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ফিরে এসেছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। সেই একই পথের পথিক হয়েছেন শাহিদ আফ্রিদিও। একই রকমভাবে অবসর নেওয়া ও ভাঙার দৃষ্টান্ত রয়েছে ব্রিটিশ ক্রিকেটেও। ২০১১ সালে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন কেভিন পিটারসেন। ফিরে আসেন মাস কয়েকের মধ্যেই। এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কেরও। অতীতে কার্ল হুপারের মতো ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তীরাও অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরেছেন। ফুটবল ইতিহাসে অবসর ভেঙে ফেরার সবথেকে উজ্জ্বলতম উদাহরণ রেখেছেন লিও মেসি। এবার ভারতীয় ক্রিকেটেও প্রথমবার ঘটতে চলেছে এমন ঘটনা।