Ranji Trophy Rescheduled: বাইশ গজে বড় ধাক্কা, করোনার জন্য স্থগিত হয়ে গেল রঞ্জি ট্রফি
BCCI Domestic Cricket: নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে সব মহলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
কলকাতা: গোটা দেশে হুড়হুড়িয়ে বাড়ছে করোনা (Corona)। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে সব মহলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
গতবার করোনা পরিস্থিতির জন্যই রঞ্জি ট্রফি বন্ধ রেখেছিল বোর্ড। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার খেলা হয়নি রঞ্জি ট্রফি। তবে এবার ফের টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১৩ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্বের ম্যাচ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন বিভিন্ন দলের ক্রিকেটারেরাও। যদিও দেশে করোনা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকী, কয়েকটি দলেও ছড়িয়েছে সংক্রমণ।
বাংলা দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে সাতজনের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছিল রবিবার রাতে। জরুরি পরিস্থিতিতে স্থানীয় ক্রিকেট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি (CAB)। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অনুষ্টুপ মজুমদার, কাজি জুনেইদ সইফি, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, সুজিত যাদব, গীত পুরি ও স্পিন বোলিং কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে মুম্বই শিবিরেও। শিবম দুবে ও এক সাপোর্ট স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের ছাড়াই সোমবার রাতে কলকাতায় এসেছে মুম্বই। ইডেনে তাদের প্রথম ম্যাচ ১৩ জানুয়ারি। তার আগে বাংলার বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল পৃথ্বী শদের। যদিও পরিবর্ত পরিস্থিতিতে সবই বিশ বাঁও জলে।
মঙ্গলবার রাতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি নিউজকে জানান যে, রঞ্জি পিছিয়ে দেওয়া হবে। তারপরই বোর্ড থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, রঞ্জি ট্রফি ছাড়াও কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফি ও মহিলাদের সিনিয়র টি-টোয়েন্টি লিগ স্থগিত রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে রঞ্জি ও সি কে নাইডু ট্রফি জানুয়ারিতে ও মহিলাদের টি-টোয়েন্টি লিগ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ভরসা রাহানে-পূজারা, রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তির দিকে জোহানেসবার্গ টেস্ট
বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে যে, ক্রিকেটার বা টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত কারও শারীরিক নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বোর্ড। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হবে। সেই অনুযায়ী নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি চলতি মরসুমে ১১টি টুর্নামেন্টের ৭০০টি ম্যাচ সফলভাবে আয়োজনের জন্য সমস্ত রাজ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বোর্ড।