Bengal Thang-Ta: মণিপুরি মার্শাল আর্ট থ্যাং-টা চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার প্রতিযোগীদের জয়জয়কার
Bengal Thang-Ta Championship: ভারতের ঐতিহ্যবাহী মার্শাল আর্টকে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলা থেকে মোট ৫ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।

হরিদ্বার: থ্যাংটা। অনেকেই হয়ত নামটাই জানেন না। আসলে এটি হল মণিপুরের একটি প্রাচীন মার্শাল আর্ট। যার জাতীয় সাব জুনিয়র ও সিনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য পেল বাংলার প্রতিযোগীরা। গত ৪-৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল জাতীয় সাব জুনিয়র ও সিনিয়র থ্যাংটা চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারতের ঐতিহ্যবাহী মার্শাল আর্টকে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যেখানে সারা দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলা থেকে মোট ৫ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা গুপ্তা রুপো জিতেছিলেন। এছাড়াও প্রিয়াংশু দাস ও সানা ইকবাল ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এছাড়াও নজরকাড়া পারফরম্য়ান্স করেছেন বাংলার আরও ২ অর্নাশ্রী দাশগুপ্ত ও কৃষ্ণেন্দু সাহা।
থ্যাংটা মণিপুরের ঐতিহ্যশালী মার্শাল আর্ট। 'হুইয়েন লালং' নামে পরিচিত। তলোয়াড় ও বর্শার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ কৌশল, আত্মরক্ষা, শারীরিক সুস্থতা এবং মনোবল বাড়ানোর একটি বিশেষ মাধ্যম। ঐতিহাসিকভাবে, থ্যাংটা মণিপুরের যোদ্ধাদের প্রধান প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রের উপযোগী এই কৌশলটি এখন একটি আধুনিক ক্রীড়ার রূপ নিয়েছে, যা বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
২০২৪ সালে, রাঁচির খেলাগাঁওতে অনুষ্ঠিত জাতীয় থ্যাং-টা চ্যাম্পিয়নশিপে হাওড়ার প্রতিযোগী প্রিয়াংশু দাস ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছিলেন। সেই বছর বাংলার মোট পদকসংখ্যা ছিল তিনটি, যার সবই ব্রোঞ্জ।
এদিকে, রাজ্য ক্রীড়া দফতরের বড় ঘোষণা। জাতীয় গেমসে পদক পেলেই চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। অ্যাথলিটদের জন্য বড় ঘোষণা। উত্তরাখণ্ডে ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে জাতীয় গেমস। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই ফুটবলারদের পুলিশের চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার অ্যাথলিটদের জন্যও বড় ঘোষণা। সঙ্গে নগদ পুরস্কার ও থাকছে। সোনা জিতলে ৩ লাখ, রুপো পেলে ২ লাখ, ব্রোঞ্জ ১ লাখ টাকা পুরস্কার। সোনাজয়ীদের এসআই পদমর্যাদা, রুপো পেলে এএসআই আর ব্রোঞ্জ পেলে মিলবে কনস্টেবল পদমর্যাদার চাকরি।
এর আগে সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধিত করা হয়েছিল। এমনকী ভবানীপুর ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলকে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। কোচ-ফুটবলারদের প্রত্যেককে ঘড়িও দেওয়া হয়। রাজ্যে তরফে অনুষ্ঠানে সঞ্জয় সেন-সহ বাংলা দল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ভবানীপুর ক্লাবের কর্ণধার স্বপনসাধন (টুটু) বসু, প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, কম্পটন দত্ত, অতনু ভট্টাচার্য, দেবজিৎ ঘোষ, শিল্টন পাল, আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, মোহনবাগান সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ, আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, মহামেডান সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু, কার্যনির্বাহী সভাপতি কামারউদ্দিন প্রমুখ।






















