(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
IND vs WI: আগামী ১০ বছর ভারতীয় দলের হয়ে খেলবেন যশস্বী, দাবি বিক্রম রাঠৌরের
Yashasvi Jaiswal: নিজের আন্তর্জাতিক অভিষেকেই ১৭১ রানের ইনিংস খেলেন যশস্বী জয়সওয়াল।
নয়াদিল্লি: ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পর দুরন্ত আইপিএল (IPL) যশস্বী জয়সওয়ালকে (Yashasvi Jaiswal) জাতীয় দলে সুযোগ পাইয়ে দেয়। আর সুযোগ পেয়েই নিজের অভিষেক টেস্টেই দুরন্ত পারফর্ম করেন ভারতের তরুণ ওপেনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে ডমিনিকায় যশস্বীর ১৭১ রানের ইনিংসে ভর করেই ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন যশস্বী।
দুরন্ত আইপিএলের পর টেস্টেও যশস্বীকে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে দেখে বেশ প্রভাবিত হয়েছেন রাঠৌর। তাঁর মতে আগামী ১০ বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন যশস্বী। তরুণ ভারতীয় ওপেনারের ইনিংস দেখে মুগ্ধ দলের ব্যাটিং বিক্রম রাঠৌর (Vikram Rathour) বলেন, 'আমি এর আগে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার মতে যখন কোনও খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া হয়, তখন মাথায়া রাখতে হবে সে যেন আগামী ১০ বছর খেলতে পারে। ওর মধ্যে সেই প্রতিভাটা রয়েছ। আমার কাছে এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি ওর সঙ্গে আগে কাজ করিনি। তবে ওর আইপিএলে খেলা স্ট্রোকগুলি দেখলেই বোঝা যায় ও কতটা প্রতিভাবান ব্যাটার। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ও নিজের খেলার ধরন বদলাতে পেরেছে।'
জয়সওয়াল ইনিংসের শুরুতে বেশ কয়েকটি বল খেলার পরেই নিজের প্রথম রান করতে পারেন। শতরানের দোরগোড়ায় আবার আগ্রাসী ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আবার প্রচুর বল খেলে তুলনামূলক মন্থর গতিতে রান করেন জয়সওয়াল। নিজের স্বাভাবিক খেলার বিরুদ্ধে গিয়ে ইনিংস গড়ে তোলায় যশস্বীকে বাহবা দেন রাঠৌর। ভারতের ব্যাটিং কোচ বলেন, 'দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগে ৯০ বলে ২০ রান করে ও। আমার মতে এটাই ওর ইনিংসের সেরা হাইলাইটস। যে নিজের স্বাভাবিক খেলার বিরুদ্ধে গিয়ে কঠিন সময়ে ক্রিজে টিকে থেকে তারপর বড় রান করাটা দেখতে দারুণ লেগেছে। ওর ভবিষ্যৎ যে উজ্জ্বল এবং ভারতীয় দলের হয়ে তিন ফর্ম্য়াটেই খেলবে।'
রাঠৌপ বিরাট কোহলিরও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রাঠৌর বলেন, 'ব্যাটিং কোচ হিসাবে আমার ধারণা ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়াটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ও সাধারণত আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ব্যাটিং করে। তবে ভাল খেলোয়াড় তারাই যারা পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলে। এটাই ওর সবথেকে বড় গুণ। ভিন্ন ফর্ম্যাটে ভিন্নভাবে খেলতে পারে ও। পরিবেশ অনুযায়ী ও নিজের খেলার ধরন বদলে ফেলতে পারে। স্পিনসহায়ক পিচে ও সেটা করে দেখিয়েছে। বাঁ হাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে ও যেভাবে ডিফেন্ড করে, তা যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের জন্য শেখার বিষয়।'
আরও পড়ুন: বর্ষায় ইনফেকশন থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শখের নখ? রইল সহজ টিপস