Dravid On Sourav: আমি ওর চেয়ে জোরে দৌড়তাম, ফিটনেস নিয়ে সৌরভকে খোঁচা দ্রাবিড়ের
Rahul Dravid: মাঠের বাইরে দাদার সঙ্গে খুনসুটি করতে ছাড়লেন না জ্যামি। একটি সাক্ষাৎকারে দ্রাবিড়কে সৌরভ সম্পর্কে বলতে বলা হয়েছিল।
কলকাতা: অধিনায়ক থাকাকালীন তিনি উইকেটকিপার হিসাবে খেলিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছিলেন। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হিসাবে তিনিই দ্রাবিড়কে জাতীয় দলের কোচ করে আনেন। দ্রাবিড়ের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (sourav Ganguly) কম্বিনেশন ভারতকে জিতিয়েছে একাধিক ম্যাচ।
তবে মাঠের বাইরে দাদার সঙ্গে খুনসুটি করতে ছাড়লেন না জ্যামি। একটি সাক্ষাৎকারে দ্রাবিড়কে সৌরভ সম্পর্কে বলতে বলা হয়েছিল। দ্রাবিড়ের কথায়, ‘দাদা ফিটনেসে খুব একটা নজর দিত না। ও যখন খেলতে এল, বাংলা দলে সকলে ওকে মহারাজ বলত। দারুণ ব্যাট, ক্রিকেট সরঞ্জাম। তবে রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটস আরও দ্রুত হতে পারত। অমিও দ্রুত দৌড়তে পারতাম না। তবে ওর চেয়ে জোরে দৌড়তাম।’
দ্রাবিড় যোগ করেছেন, ‘ব্যাট হাতে সৌরভের টাইমিং অবিশ্বাস্য ছিল। তবে মাঠের বাইরে অপেক্ষা করতে হতো ওর জন্য। যদিও স্টিভ ওয়কে ও ইচ্ছাকৃতভাবে অপেক্ষা করিয়েছিল বলে মনে হয় না। এ নিয়ে আমাদের কখনও কথা হয়নি। তবে স্টিভ তো আর সৌরভকে চিনত না।’
সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়েও নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন দ্রাবিড়। বলেছেন, ‘ও আর আমি সমবয়সী। আমি যে সময় স্কুল দলের বোলারদের খেলতেও সমস্যায় পড়তাম, সেই ১৬ বছর বয়সে ও ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসকে খেলেছে।’
আর বীরেন্দ্র সহবাগ? দ্রাবিড় বলেছেন, ‘আমি খুব চিন্তাভাবনা করতে পছন্দ করতাম। ক্রিকেট নিয়ে, ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণ করতাম। ক্রিজে ব্যাট করতে গেলেই ভাবতাম, উইকেট কেমন, বল কীরকম আচরণ করছে ইত্যাদি। বীরুকে বললেই বলত, আরে বল দেখো আর মারো। সত্যিই এত সহজ পরামর্শ আর হয় না। যেভাবে ও টেস্ট ক্রিকেট খেলত, টেস্ট ক্রিকেট সম্পর্কে সকলের ধারণা বদলে দিয়েছিল।’
দ্রাবিড় যোগ করেছেন, ‘আমার মনে আছে সিসিআই-তে (ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়া, ব্রেবোর্ন) শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটা ম্যাচে ও ২৯৬ রান করেছিল। প্রত্যেক বলের আগে ও আমাকে বলে দিচ্ছিল পরের ডেলিভারিতে কী শট খেলবে। মুরলীধরন বল করছিল। ও লেগ স্টাম্পে ফিল্ডিং সাজিয়ে বল করছিল আর চাইছিল যে, স্পিনের বিরুদ্ধে শট খেলুক ব্যাটার। বীরু আমাকে বলল, ও পরের বলটা মিডল ও লেগ স্টাম্পে করবে আর আমি ওকে কভার দিয়ে ড্রাইভ করে দেব। সেই মুহূর্তে সেটাই ছিল সেরা কৌশল। আমি ওকে বললাম, বেশ, তাই করো। পরের বলে সত্যিই তাই করল। ইনসাইড আউট গিয়ে কভারের ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারিতে ফেলল। আমি ভাবলাম, কী করে করে ও।’
কেরিয়ারে একটিমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন দ্রাবিড়। সেই ম্যাচে সমিত পটেলকে পরপর তিন বলে তিন ছক্কা মেরেছিলেন। হাসতে হাসতে দ্রাবিড় বলছেন, ‘আমি টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার নই কে বলেছে! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট দেখুন। ১৪৫! ছেলেখেলা নাকি।’
আরও পড়ুন: অমিতাভর পর সচিনের হাতে বিশ্বকাপের গোল্ডেন টিকিট তুলে দিল বোর্ড
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন