Shardul Thakur: হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, দল চাপে পড়তেই মাঠে ফিরলেন, শার্দুলকে নিয়ে মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা
Mumbai vs Rest Of India: অবশিষ্ট ভারতের পার্টনারশিপ ভাঙতে মুম্বই যখন মরিয়া, তখন দ্বিতীয় নতুন বল হাতে তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর।
লখনউ: তাঁর একাধিক ডাকনাম। কেউ ডাকেন লর্ড শার্দুল নামে, কেউ বলেন 'বিফি' বা 'দ্য পালঘর এক্সপ্রেস' নামে। শুক্রবারের পর থেকে কি নতুন কোনও নাম পাবেন শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)?
কেউ তাঁকে 'যোদ্ধা' বা 'মিস্টার ফিয়ারলেস' নামকরণ করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, ইরানি কাপে অসমসাহসী মানসিকতার পরিচয় দিলেন মুম্বইয়ের ডানহাতি পেসার। প্রবল জ্বর, সঙ্গে ডিহাইড্রেশন, অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল শার্দুল ঠাকুরকে। তবে দলের প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে ফিরেই মাঠে নেমে পড়লেন শার্দুল। বলও করলেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন প্রবল জ্বর নিয়ে ব্যাটিং করেছিলেন শার্দুল। ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়েও ৫৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শার্দুল। সরফরাজ খানকে ডাবল সেঞ্চুরি করার মতো সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনিই। কিন্তু তারপরই ডিহাইড্রেশনের শিকার হন তিনি। সেদিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় শার্দুলকে।
তবে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংসের স্কোরের জবাবে ব্যাট হাতে বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বে অবশিষ্ট ভারত ভাল লড়াই শুরু করলে মুম্বইয়ের বোলিংয়ের হাল ধরতে হাসপাতাল থেকে ফিরে মাঠে নামেন শার্দুল। ম্যাচের তৃতীয় দিন চা পানের বিরতির পরই মাঠে নামেন শার্দুল। তাঁর সাহসীকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে।
বৃহস্পতিবার অবশ্য বল করতে হয়নি শার্দুলকে। শুক্রবার, ম্যাচের চতুর্থ দিন আর আটকে রাখা যায়নি শার্দুলকে। অবশিষ্ট ভারতের পার্টনারশিপ ভাঙতে মুম্বই যখন মরিয়া, তখন দ্বিতীয় নতুন বল হাতে তুলে নেন শার্দুল। অভিমন্যু ও ধ্রুব জুরেলের পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেননি শার্দুল। তবে চার ওভারে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেন লর্ড শার্দুল। যা দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা।
অসুস্থতা নিয়েই ম্যাচে খেলার সিদ্ধান্ত নেন শার্দুল। ১০২ জ্বর নিয়েও ব্যাট হাতে নবম উইকেটে সরফরাজ খানের সঙ্গে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ম্যাচের প্রথম দিনই অসুস্থ ছিলেন। জ্বর ছিল শার্দুলের। দ্বিতীয় দিন প্রায় ২ ঘণ্টা ব্যাটিং করার পর অবস্থার অবনতি হয়। ইনিংসে দুবার বিরতি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে শুশ্রূষা নিতে হয় তাঁকে। সেই ইনিংসের পরই মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট শার্দুলকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সারারাত সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
ইরানি কাপে প্রথম ইনিংসের লিড নিয়েছে মুম্বই। অবশিষ্ট ভারতকে টানেন অভিমন্যু ও ধ্রুব জুরেল। ১৯১ রান করে আউট হন অভিমন্যু, ৯৩ করে ফেরেন ধ্রুব। মাত্র ২৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় অবশিষ্ট ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের স্কোর ১৫৩/৬।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পরই অযোধ্যায় রামমন্দিরে পুজো দিয়ে এলেন আকাশ দীপ