Suryakumar Yadav Record: অনবদ্য শতরানে নতুন ইতিহাস গড়লেন সূর্যকুমার যাদব
Suryakumar Yadav: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চোখধাঁধানো ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভারতের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন সূর্যকুমার।
রাজকোট: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুরন্ত শতরান করেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। নিজের কেরিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শতরান করেই নতুন ইতিহাস গড়ে ফেললেন ভারতের (Team India) তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার। দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে (বলের নিরিখে) আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০০ রানের গণ্ডি পার করলেন সূর্য।
দ্রুততম ১৫০০ রান
সূর্যকুমার যাদব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র ৮৪৩ বল খেলেই ১৫০০ রানের গণ্ডি পার করে ফেললেন। এত কম বল খেলে আর কোনও ব্যাটার আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ক্রিকেটে ১৫০০ রান করেননি। তবে ইনিংসের নিরিখে তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে তিনি এই মাইলফলক পার করলেন। কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, বাবর আজম ও অ্যারন ফিঞ্চ যুগ্মভাবে দ্রুততম, ৩৯ ইনিংসে ১৫০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রান করেন। পাকিস্তান তারকা মহম্মদ রিজওয়ান ৪২ ইনিংসে এই মাইলফলক পার করেন। শনিবার সূর্যকুমার নিজের ৪৩তম ইনিংসে ১৫০০ রান করলেন।
সূর্য ৪৫টি ম্যাচে ৪৩টি ইনিংসে মোট ১৫৭৮ রান করেছেন। গড় ৪৬.৪১, স্ট্রাইক রেট ১৮০.৩৪। তিনটি শতরানের পাশাপাশি ১৩টি অর্ধশতরানও করেছেন আইসিসির বিচারে বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার।
অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি
সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে (IND vs SL 3rd T20) জ্বলে উঠল সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট। চোখধাঁধানো ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভারতের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন তারকা মিডল অর্ডার ব্যাটার। দুরন্ত ইনিংসের পর সূর্যকুমার যাদব তাঁকে স্বাধীনভাবে খেলতে দেওয়ার জন্য ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid) ধন্যবাদ জানান।
রাজকোটে গোটা ইনিংসে একাধিক স্কুপ শট খেলেন সূর্যকুমার, যা দেখে বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক সকলেই মুগ্ধ। সূর্য জানান কঠোর অনুশীলনই তাঁর দুরন্ত ধারাবাহিকতা ও ক্রিকেটের তথাকথিকত 'টেক্সট বুক'র বাইরের শট নিরন্তরভাবে খেলতে পারার আসল কারণ। সূর্য বলেন, 'ম্যাচের প্রস্তুতির সময় নিজেকে চাপের মুখে ফেলাটা ভীষণই জরুরি। অনুশীলনে যতটা চাপে নিজেকে ফেলব, ম্যাচে ততই ভাল খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। এই সবকিছুর পিছনে আমার কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। পিছনের দিকে বাউন্ডারিগুলি মাত্র ৫৯-৬০ মিটারের থাকে, তাই আমি সেই বাউন্ডারি পার করার চেষ্টা থাকি। কিছু কিছু সময় তো আগে থেকে কোন শট খেলব তা নির্ধারিতই থাকে। তবে অনেক সময় সেই শট খেলার মতো ঠিক জায়গায় বল না পেলে অন্য শট খেলতে প্রস্তুত থাকতে হয়। আমি সবসময় ফিল্ডারদের মাঝে ফাঁক খোঁজার চেষ্টা করি। দ্রাবিড়ও স্বাধীনভাবে আমায় নিজের খেলাটা খেলতে দেন।'
আরও পড়ুন: অধিনায়ক হার্দিকের ভরসাই সাফল্যের চাবিকাঠি, সিরিজসেরা হয়ে দাবি অক্ষরের