FIFA WC 2022 Final: দুই মিনিটে দুই গোল এমবাপের, আর্জেন্তিনা-ফ্রান্সের ফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে
Kylian Mbappe: ৯০ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন এমবাপে।
দোহা: বিশ্বকাপের ফাইনালে (FIFA WC 2022 Final) দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচের রঙ বদলাতে কোলো মুয়ানি ও মার্কাস থুরামকে মাঠে নামিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশঁ। ঠিক সেটাই করে দেখালেন ফ্রান্সের দুই তারকা। ওতামেন্দি প্রথমজনকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স, আর দ্বিতীয়জনের পাস থেকে সমতায় ফেরে দেশঁর দল। আর্জেন্তিনা রক্ষণ ম্যাচের ৭৯ মিনিট পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপেকে (Kylian Mbappe) থামাতে ,সক্ষম হলেও, ফ্রান্স তারকা বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে কেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বলে গণ্য করা হয়। ৯০ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান এমবাপেই।
এমবাপের জাদু
ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় অনেকটা আর্জেন্তিনার পাওয়া পেনাল্টির রিপ্লের মতোই ওতামেন্দি বক্সের একইরকম জায়গায় কোলো মুয়ানিকে ফাউল করেন। আঁতোয়াঁ গ্রিজম্যান ফ্রান্সের হয়ে সচরাচর পেনাল্টি মারেন। তবে তিনি মাঠে না থাকায় পেনাল্টি থেকে গোল করার দায়িত্ব পান এমবাপে। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ঠিক দিকে ঝাঁপালেও, তাঁর হাতে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। আর দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে থুরামের সঙ্গে অনবদ্য ওয়ান -টু খেলে এক দুর্দান্ত ভলি থেকে মার্তিনেজকে পরাজিত করেন এমবাপে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে মেসি বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত এক শট নিলেও ফ্রান্স গোলরক্ষক উগো লরিস তা বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচ ২-২ শেষ হওয়ায় তা অতিরিক্ত সময়ে গড়াল।
প্রথমার্ধের খেলা
ফাইনালে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) গোলের প্রত্যাশায় ছিলেন সকল আর্জেন্তাইন সমর্থকই। হতাশ করলেন না 'এলএম১০'। ২৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্স থেকে গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি। উসমান দেম্বেলে পেনাল্টি বক্সে অ্যাঙ্খেল দি মারিয়াকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় আর্জেন্তিনা। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করেন মেসি। ফ্রান্স গোলরক্ষক উগো লরিস ভুল দিকে ঝাঁপান। আর্জেন্তিনা এই বিশ্বকাপে এই নিয়ে মোট পাঁচটি পেনাল্টি পেল, যা বিশ্বকাপের রেকর্ডও বটে। মেসি চলতি বিশ্বকাপে ষষ্ঠ গোল করে ফেললেন। কিলিয়ান এমবাপে গোল করতে না পারলে, এই বিশ্বকাপের সর্বার্ধিক গোলদাতা হিসাবে গোল্ডেন বুট জিতবেন মেসিই।
প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে আসলেও, দ্বিতীয় গোলে আর্জেন্তিনার দুরন্ত ফুটবলের পরিচয় মেলে। এই গোলেও মেসির অবদান ছিল। তাঁর রক্ষণভেদী পাস থেকে ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান অ্যালেক্সিস ম্য়াক অ্যালিস্টার। তাঁর পাস থেকে অনবদ্য এক গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দিলেন দি মারিয়া। কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোল করেছিলেন দি মারিয়া, গোল করেছিলে দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন, ইতালি-আর্জেন্তিনার ফাইনালিসিমা ম্যাচেও। এবার ফের একবার বড় মঞ্চে গোল করে দি মারিয়া আবারও নিজের দক্ষতা চেনালেন।