Maradona Death Anniversary : দ্বিতীয় প্রয়াণবার্ষিকী, দিয়েগো মারাদোনাকে স্মরণ ফুটবলবিশ্বের
Diego Maradona : ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বলেছেন, ' আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ভবিষ্যতেও প্রত্যেক বিশ্বকাপে একটা দিন দিয়েগো মারাদোনাকে সম্মান জানান হবে।'
দোহা : বিশ্ব-ফুটবলের গ্র্যান্ড শো'তে প্রথমবারের জন্য নেই তিনি। দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (Diego Armando Maradona)। আজ থেকে ঠিক দু'বছর আগে বিশ্বব্যাপী ফুটবল সমর্থকদের কাঁদিয়ে ৬০ বছর বয়সে চলে গিয়েছিলেন ফুটবল ঈশ্বর। দিয়েগো মারাদোনার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করল বিশ্বব্যাপী ফুটবল-ভক্তরা। ফিফার তরফেও বিশ্বকাপের মাঝে স্মরণ করা হল তাঁকে।
সম্মান ফিফার
দোহাতে কনমেবল ট্রি অফ ড্রিমসে পালিত করা হয় দিয়েগো মারাদোনার স্মৃতিতে সম্মান জানান হয়। যেখানে জড়ো হয়েছিলেন দিয়েগোর প্রাক্তন সতীর্থরা। যে মঞ্চে ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বলেছেন, 'দিয়েগোকে মনে করার জন্য আলাদা করে কোনও ট্রিবিউট জানানোর দরকার নেই। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ভবিষ্যতেও প্রত্যেক বিশ্বকাপে একটা দিন দিয়েগো মারাদোনাকে সম্মান জানান হবে।'
মেসি-মারাদোনা তুলনা
বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরেছে। যে ম্যাচে লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করলেও হারতে হয় লা আলবিসিলেস্তে-দের। যারপরই ফের একবার স্বাভাবিক কারণে বিশ্বকাপের মঞ্চেও ফিরে আসে মেসি ও মারাদোনার তুলনা। দিয়েগো মারাদোনার ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপে খেলা রিচার্ড গিউস্তি বলেছেন, 'দুজনের মধ্যে তুলনা টানাই যায় না। দু'জনের মধ্যে কে ভাল, সেটা বলা মুশকিল। দুজন ভিন্ন প্রজন্মের আর্জেন্তাইন জিনিয়াস। ওঁদের দুজনের খেলাই আমাদের উদযাপন করা উচিত।' ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে মারাদোনার সঙ্গে খেলা জর্জে বুরুচাগা বলেছেন, 'আশা রাখি মেসি পরের ম্যাচে তাঁর চেনা ছন্দে ফিরবে।'
ঝলকে মারাদোনা
মাঠের বাইরে দিয়েগো মারাদনোর ব্যক্তিগত জীবন যাপন নিয়ে সমালোচনা হলেও, মাঠের মধ্যে মারাদানো মানেই জাদু। প্রায় দুই দশকের কিংবদন্তি কেরিয়ারে দিয়েগো মারাদোনা ক্লাব ও দেশের হয়ে ৮৫৯টি ম্যাচে মোট ৩০৬টি গোল করেছেন। আর্জেন্তিনার হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। তার মধ্যে ১৯৮৬ সালে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপও জেতান তিনি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া গোল্ডেন বল এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক গোল করায় রুপোর বুটও জেতেন তিনি।
এই বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর করা গোলটি গত শতাব্দীর সেরা নির্বাচিত হয়। ক্লাব কেরিয়ারে নাপোলির জার্সিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন মারাদোনা। ৭ বছর ইতালির ক্লাবে খেলে সিরি এ-র পাশাপাশি ইউরোপা লিগও জিতেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- অবশেষে জাতীয় সংগীতে গলা মেলালেন ইরানের ফুটবলাররা, নেপথ্যে 'চাপ'?