IPL 2023: শেষ ওভারে লখনউয়ের ৪ উইকেটের পতন, রূদ্ধশ্বাস ম্যাচে রাহুলদের হারিয়ে দিল হার্দিক বাহিনী
LSG vs GT: মাত্র ৪ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিলেন মোহিত ইনিংসের শেষ ওভারে। লখনউ শেষ ওভারে হারাল ৪টি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি লখনউ শিবির।
লখনউ: লো স্কোরিং ম্যাচও যে কতটা উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে, তা বোধহয় গুজরাত টাইটান্স বনাম লখনউ সুপারজায়ান্টস ম্যাচ না দেখলে বোঝাই যেত না। মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়়া করতে নেমেও নাস্তানাবুদ হতে হল কে এল রাহুলের দলকে। শেষ ওভারে মাত্র ১২ রান দরকার ছিল। কিন্তু অভিজ্ঞ মোহিত শর্মার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সেই রানই তুলতে পারল না লখনউ সুপারজায়ান্টস। মাত্র ৪ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নিলেন মোহিত ইনিংসের শেষ ওভারে। লখনউ শেষ ওভারে হারাল ৪টি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি লখনউ শিবির।
১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে কে এল রাহুল ও কাইল মায়ের্স ওপেনিং জুটি ভালই এগােচ্চিলেন। পাওয়ার প্লে-র পরে দলগত ৫৫ রানের মাথায় ২৪ রান বোর্ডে তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মায়ের্স। কে এল রাহুল অর্ধশতরান হাঁকান। কিন্তু তিনি যোগ্য সঙ্গ পাননি কারও। ক্রুণাল পাণ্ড্য ২৩ রান করে ফিরে যান। এছাড়া আর কোনও ব্যাটারই দু অঙ্কের রান পাননি। খেলা যত এগােচ্ছিল ততই ম্যাচে নিজেদের রাশ শক্ত করে গুজরাত শিবির। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল। তখন হাতে ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকেই পরপর ৪টে উইকেট হারায় লখনউ। প্রথম বলে ২ রান নেন রাহুল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পরপর ২ উইকেট নেন মোহিত। রাহুল ও স্টোইনিস ক্যাচ আউট হয়ে যান। এরপরের ৩ বলে পরপর ২ টো রান আউট হয়।
এর আগে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক। তবে শুরুটা একবারেই মনমতো করতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এ মরসুমে এখনও পর্যন্ত গুজরাতের হয়ে সর্বাধিক রান করা শুভমন গিল দুই বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন। শুভমনের আউট হওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে পড়েন অধিনায়ক হার্দিক। তিনি ও আরেক গুজরাত ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা মিলে দলের হাল ধরেন। দুইজনে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন। তবে অর্ধশতরানের দোরগোড়া থেকেই সাজঘরে ফিরতে হয় ঋদ্ধিকে। গিলের মতো তাঁরও উইকেট নেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। ঋদ্ধি ৩৭ বলে ৪৭ রান করেন।
ঋদ্ধি আউট হওয়ার পরপরই বাউন্ডারি লাইনে ঝাঁপ মেরে এক অনবদ্য ক্যাচ ধরে অভিনব মনোহরকে ৩ রানে সাজঘরে ফেরান নবীন-উল-হক। বিজয় শঙ্করও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। পরপর উইকেট হারিয়ে গুজরাতের ইনিংস সম্পূর্ণ গতি হারিয়ে ফেলে। ১৫ ওভার শেষে গুজরাতের স্কোর ছিল চার উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৯২ রান।
এই অবস্থায় অধিনায়ক হার্দিক দলের রানের গতি বাড়ানোর জন্য উদ্যোগী হন। ১৮ওভারে রবি বিষ্ণোইকে দুইটি ছক্কা ও একটি চার মেরে মোট ১৯ রান তোলে। ৪৪ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন হার্দিক। শেষ ওভারেও মার্কাস স্টোইনিসকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরুটা দুরন্তভাবে করেন হার্দিক। তবে পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় হার্দিককে। ৫০ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। স্টোইনিস প্রথম বলে ছক্কা খেলেও, পরের পাঁচ বলে হার্দিকের উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রাহুল তেওয়াটিয়াকে সাজঘরে ফেরত পাঠান। শেষ পাঁচ বলে মাত্র তিন রান দেন তিনি। লখনউয়ের হয়ে ক্রুণাল ও স্টোইনিস দুইটি করে উইকেট নেন।