IND vs AUS: শেষবেলায় তিনিই নায়ক, তবুও কার্তিকের মুখে রোহিতের প্রশংসা
Karthik On Rohit: চাপের মুখে শেষ ওভারে ব্য়াট করতে নেমে পরপর ২ বলে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানো। তাঁর ব্যাটিং দেখে রোহিতের রি-অ্যাকশনও ছিল চোখে পড়ার মত।
নাগপুর: আজ থেকে এক বছর আগেও জানতেন না যে ফের প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন কি না। কিন্তু গত আইপিএলের পর থেকেই পুরো ছবিটা বদলে গিয়েছে। দীনেশ কার্তিক ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনই করেননি, তিনিই এখন দলের মূল ফিনিশার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও জায়গা করে নিয়েছেন। আর ছত্রিশের কার্তিককে কেন বিশ্বকাপে নেওয়া হয়েছে, তার আরও একটা প্রমাণ গতকাল তিনি দিয়ে দিয়েছেন। চাপের মুখে শেষ ওভারে ব্য়াট করতে নেমে পরপর ২ বলে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানো। তাঁর ব্যাটিং দেখে রোহিতের রি-অ্যাকশনও ছিল চোখে পড়ার মত। তবে নিজের ব্যাটিং নয়, ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিতের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা শোনা গেল তামিলনাড়ুর এই অভিজ্ঞ উইকেট কিপার ব্যাটারের মুখে।
রোহিতের প্রশংসায় কী বললেন কার্তিক?
গতকাল ব্যাট হাতে ২০ বলে ৪৬ রানের দুরন্ত অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন রোহিত শর্মা। সেই পুরনো হিটম্যানকে আবার দেখতে পাওয়া গিয়েছে। শেষ ওভারে ফিনিশারের ভূমিকা নিভিয়েছেন কার্তিক। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এসে তিনি বলেন, ''ফিনিশারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে। আমি দীর্ঘদিন ধরেই এর জন্য অনুশীলন করছি। আরসিবির হয়েও ফিনিশার হিসেবে ব্যাট করেছি। যখনই সময় পাই এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিই। রাহুল দ্রাবিড় ও বিক্রম রাঠোর আমাকে অনেক সাহায্য করছেন। কেমন শট খেলতে হবে, সেই বিষয়ও তাঁরা জানিয়েছেন।''
এরপরই কার্তিক বলেন, ''আমি মাত্র ২টো বল খেলেছিলাম, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু নতুন বলে বিশ্বমানের বোলারদের বিরুদ্ধে ওমন শট খেলা সত্যিই অভাবনীয়। রোহিতকে কেন বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ব্যাটার বলা হয় তা আরও একবার প্রমাণ করল ওঁ।''
আট ওভারে ৯১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন রোহিত এবং রাহুল শুরুটা দারুণভাবেই করেন। তিন ওভার হওয়ার আগেই ৩৯ রান যোগ করেন দুইজনে। তবে গত ম্যাচে অর্ধশতরান করলেও এদিন ১০ রানের বেশি করতে পারেননি রাহুল। বিরাট কোহলিও ১১ রানে আউট হন। কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবকে পরপর বলে ফিরিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। তবে রোহিত নিজের খেলা চালিয়ে যান। হার্দিক পাণ্ড্য ৯ রানে আউট হলে দীনেশ কার্তিক ব্যাটে নামেন। 'ফিনিশার' ডিকে নিজের কাজটা দারুণভাবে করেন। দুই বল খেলেই একটি ছয় ও একটি চার হাঁকিয়ে ভারতকে চার বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতিয়ে দেন কার্তিক।