MI vs DC: কাজে দিল না স্টাবসের ঝোড়ো ইনিংস, ২৯ রানে মরশুমের প্রথম জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
Tristan Stubbs: ট্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিতই রয়ে গেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি চার ও সাতটা ছয়ে।
মুম্বই: ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে রেকর্ড ২৩৪ রান তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। লক্ষ্য ছিল চলতি আইপিএল মরশুমের (IPL 2024) প্রথম জয়। পৃথ্বী শ এবং ট্রিস্টান স্টাবস (Tristan Stubbs) ব্যাট হাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) হয়ে অনবদ্য লড়াই করেন বটে। তবে শেষমেশ তা কাজে দিল না। ২৯ রানে মরশুমের প্রথম জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। স্টাবস ২৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিতই রয়ে গেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি চার ও সাতটা ছয়ে।
এদিন নিজেদের ঘরের মাঠে রেকর্ড ২৩৪ রান বোর্ডে তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুরু থেকেই রোহিত শর্মাকে আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়। ঈশান্ত শর্মার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই চার হাঁকান রোহিত। শুরু হয় চার, ছক্কার বন্যা। রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মুম্বই পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই ৭৫ রান তুলে ফেলে, তাও আবার বিনা উইকেটে। রোহিত অর্ধশতরান দোরগোড়াতেই অক্ষর পটেলের বলে সাজঘরে ফেরেন। তাঁর সংগ্রহ ৪৯ রান। মুম্বইয়ের দুই ওপেনারের দুরন্ত শুরুর পর দিল্লিকে কিন্তু অক্ষর পটেল ম্যাচে ফেরান। ক্ষুরধার বোলিংয়ে রোহিতের পর ঈশানকেও ৪২ রানে ফেরান তিনি।
তবে টিম ডেভিড বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন রোমারিও শেফার্ড।শেষের দিকে এই দুইয়ের সৌজন্যেই মুম্বই এই সুবিশাল স্কোর খাড়া করে। শেফার্ড আইপিএলের ইতিহাসের সর্বাধিক স্ট্রাইক রেট (অন্তত ১০ বল খেলা) নিয়ে নিজের ইনিংস শেষ করেন। নখিয়া এবং অক্ষর দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন। রোমারিও শেফার্ড ১০ বলে ৩৯ রান করেন। টিম ডেভিড ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
দিল্লির জন্য জয়ের লক্ষ্যটা বেশ কঠিন ছিল। শুরুটাও ক্যাপিটালস খুব আহামরি করেনি। ব্যাটিং দৌরাত্ম্যের পর বল হাতে তুলে নিয়েই ডেভিড ওয়ার্নারকে মাত্র ১০ রানে ফেরান শেফার্ড। তবে নিজের পরিচিত ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে পৃথ্বী বেশ ভাল ছন্দে ছিলেন। তাঁকে যোগ্য দেন আরেক তরুণ তুর্কি অভিষেক পোড়েল। দুইজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন। যখনই মনে হচ্ছিল দুই তরুণ দিল্লিকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনই পৃথ্বীর উইকেট ছিটকে দেন যশপ্রীত বুমরা। ৬৬ রানে ফেরেন তিনি। পোড়েলকেও ৪১ রানে ফেরান বুমরাই।
এরপর শুরু হয় জেরাল্ড কোয়েৎজের দাপট। প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দিল্লির মিডল অর্ডার। ঋষভ পন্থরা বড় রান পাননি কেউই। ব্যতিক্রম স্টাবস। গত ম্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এদিন তাঁর হাফসেঞ্চুরি আসল মাত্র ১৯ বলে। তাও পরাজিত হয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি। কোয়েৎজের চার উইকেটের সুবাদে প্রথম দল হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫০ ম্যাচ জিতল (সুপার ওভার ব্যতীত) মুম্বই। দু'শো রান ডিফেন্ড করে মুম্বইয়ের জয়ের রেকর্ডও অক্ষত থাকল। দু'শো বোর্ডে তোলার পর এই নিয়ে ১৪ ম্যাচে ১৪টি জিতল পল্টনরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: শতরান হাঁকিয়েও রাজস্থান রয়্যালসের ট্রোলের শিকার বিরাট কোহলি?