জনি কাউকো দলে ফের যোগ দেওয়ার পর থেকেই মোহনবাগানের মাঝমাঠ যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। গোলের সুযোগও আগের চেয়ে অনেক বেশি তৈরি হচ্ছে। হাবাস ও কাউকোর ছোঁয়ায় দল যে আরও টগবগ করে ফুটছে, এ কথায় সায় দিয়ে শুভাশিস বলেন, ''জনি অসাধারণ ফুটবলার। সত্যিই খুব ভাল খেলছে ও। কোচ হাবাসের প্রশিক্ষণে আমরা অনেক সঙ্ঘবদ্ধ ফুটবল খেলছি। দল হিসেবে আক্রমণে উঠছি, আবার রক্ষণেও দল হিসেবেই খেলছি। দল হিসেবে খেলতে পারছি বলেই আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভাল হচ্ছে।''
ISL Derby: আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে ড্র নয়, তিন পয়েন্টই পুরো পাখির চোখ বাগান অধিনায়কের
East Bengal vs Mohun Bagan Supergiant: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফিরতি লেগে রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতার দুই প্রধান ফুটবল ক্লাব। মাসখানেক আগে প্রথম লেগে দুই দলের ম্যাচ শেষ হয়েছিল ২-২ ফলে।
কলকাতা: রবিবার ফের ভারতীয় ফুটবলের সেই মহারণ, যেখানে দুই দলের দ্বৈরথ এক জাতির মধ্যে সাময়িক বিভেদ সৃষ্টি করে দেয়। সারা বিশ্বের বাঙালি যে ফুটবল-যুদ্ধের জন্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের লড়াই ফের হতে চলেছে রবিবার রাতে। আর এই যুদ্ধে যে তারা শুধুমাত্র জয়ের জন্যই ঝাঁপাবেন, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সবুজ-মেরুন বাহিনীর অধিনায়ক শুভাশিস বোস।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফিরতি লেগে রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতার দুই প্রধান ফুটবল ক্লাব। মাসখানেক আগে প্রথম লেগে দুই দলের ম্যাচ শেষ হয়েছিল ২-২ ফলে। সে দিন কলকাতা ডার্বি তার চেনা আগুনে মেজাজে ফেরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।
জয়ের হাসি মুখে নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান সবুজ-মেরুন বাহিনীর অধিনায়ক শুভাশিস। আসন্ন ডার্বি নিয়ে তিনি indiansuperleague.com কে বলেন, ''এখন প্রতিটা পয়েন্টই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, লিগ শিল্ডের দৌড়ে আমরা রয়েছি। তাই ইস্টবেঙ্গল এফসি-র বিরুদ্ধে আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাব। যাতে আমরা শীর্ষে উঠতে পারি। ডার্বি কলকাতার সমর্থকদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু গতবার তা পারিনি। আশা করি এ বার পারব।'' গত ম্যাচে ছন্দে ফিরে আসা নিয়ে শুভাশিস বলেন, ''জামশেদপুরের বিরুদ্ধে দল হিসেবে আমরা ভাল খেলেছি। প্রত্যেকেই একশো শতাংশ দিয়েছে। যে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, তা কার্যকর করতে পেরেছি। দুই উইংয়ে মনবীর অসাধারণ খেলে। আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি সে দিন। ওডিশার বিরুদ্ধে ম্যাচেও আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু একটা থেকেও গোল পাইনি। কিন্তু জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আমরা সুযোগগুলো গোলে পরিণত করতে পেরেছি, যে জন্য তিন পয়েন্ট অর্জন করতেও পেরেছি।''
সে দিনের ম্যাচে তিন স্ট্রাইকারেরই গোল পাওয়া নিয়ে অধিনায়কের মন্তব্য, ''স্ট্রাইকাররা সব সময়ই গোল করতে চায়। গোল করতে পারলে ওদের আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। পেট্রাটস, কামিংস, সাদিকুরাও এই ম্যাচের পর বাড়তি মানসিক শক্তি অর্জন করল। ডার্বির আগে এই জয় আমাদের আরও উজ্জীবিত করে তুলেছে।''