SC East Bengal News: লাল-হলুদে নেপালের ডিফেন্ডার অনন্ত তামাঙ্গ
SC East Bengal: চলতি আইএসএল-এ এসসি ইস্টবেঙ্গলের বাকি আর মাত্র দুই ম্যাচ। তার আগে আজ নেপালের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার অনন্ত তামাঙ্গকে সই করানো হল। অনন্ত জানিয়েছেন, তিনি লাল-হলুদে যোগ দিতে পেরে খুশি।
ভাস্কো: চলতি আইএসএল-এ (Indian Super League) দল সবার শেষে। মাত্র একটি ম্যাচেই জয়ে এসেছে। এবারের আইএসএল-এ এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) বাকি আর মাত্র দু’টি ম্যাচ। এই পরিস্থিতিতে আজ নেপালের (Nepal) ডিফেন্ডার অনন্ত তামাঙ্গকে (Ananta Tamang) সই করানোর কথা ঘোষণা করল লাল-হলুদ শিবির। তিনি চলতি মরসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত লাল-হলুদে থাকবেন।
এসসি ইস্টবেঙ্গলে সই করার পর অনন্ত জানিয়েছেন, ‘এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। আমি যেভাবেই পারি না কেন, ক্লাবকে সাহায্য করতে চাই। এটা আমার কাছে গর্বের মুহূর্ত।’
নেপালের ক্লাব থ্রি স্টার থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন ২৪ বছর বয়সি অনন্ত। ২০২০ সালে তিনি নেপালের এ-ডিভিশন লিগে সেরা ডিফেন্ডার হন। ২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় অনন্তর। এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৪৩টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি গোলও করেছেন তিনটি।
আরও পড়ুন লড়াই করেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফের হার এসসি ইস্টবেঙ্গলের
২০১৫ সালে নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন অনন্ত। তাঁর নেতৃত্বেই নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে। অনূর্ধ্ব-১৯ ছাড়াও জাতীয় দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়েও খেলেছেন অনন্ত।
২৮ তারিখ এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র সঙ্গে। এরপর ৫ মার্চ বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এবারের মতো আইএসএল অভিযান শেষ হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডের। পরিস্থিতি যা, তাতে হয়তো সবার শেষেই আইএসএল শেষ করবে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
চলতি আইএসএল-এর শুরু থেকেই রক্ষণ লাল-হলুদের বড় সমস্যা। নিয়ম করে প্রতি ম্যাচেই গোল হজম করতে হচ্ছে। হয় ম্যাচের শুরুতে, না হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বা একদম শেষমুহূর্তে গোল খেয়ে অনেক ম্যাচ হারতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। মরসুমের শুরুতে দুই বিদেশি ডিফেন্ডারকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রক্ষণের সমস্যা মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে মরসুমের শেষদিকে নেপালের ডিফেন্ডারকে কেন সই করানো হল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনন্তকে তো মরসুমের শুরুতেই সই করানো যেত। এখন তাঁকে সই করিয়ে কোনও লাভ হবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।