চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ৭ মিনিটে ৩ গোল! রূপকথার খেলায় প্যারিস সাঁ জারমঁকে ৬-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে বার্সেলোনা
বার্সেলোনা: মিরাক্যল! এক কথায় অবিশ্বাস্য!
ইউরোপীয় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে আসাধারণ কামব্যাক করে দেখাল বার্সেলোনা। বুধবার ঘরের মাঠ ন্যু কাম্পে প্যারিস সাঁ জারমঁ ক্লাবকে ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন মেসি-নেইমাররা।
এখনও পর্যন্ত কোনও দল নকআউট পর্যায়ে প্রথম লেগের চার গোলের ঘাটতি মিটিয়ে পরের ধাপে এগোতে পারেনি। যা করে দেখাল লুই এনরিকের দল। স্টপেজ টাইমে সার্গি রোবের্তোর গোলে বিপক্ষকে ৬-৫ এগ্রিগেটে হারিয়ে দিল স্পেনের এই ক্লাবটি।
এদিন খেলা শুরুর আগে পর্যন্তও অতি বড় বার্সা ভক্ত বিশ্বাস করতে পারেননি যে আগামী ৯০ মিনিটে কোনও মিরাক্যল হতে চলেছে। মেসিদের ওই রোমহর্ষক কামব্যাক শুরু হয় ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে। যখন হেডে গোল করে দলের হয়ে খাতা খোলেন লুই সুয়ারেজ।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লাভিন কুরজাওয়ার আত্মঘাতী গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সেলোনার ব্যবধান ৩-০ করেন লিওনেল মেসি।
এর মধ্যেই একটা ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। ৬২ মিনিটে প্যারিস সাঁ জারমঁর হয়ে একমাত্র গোল করেন ক্যাভিয়ানি। তখনও বার্সার ভাগ্য অনিশ্চিত সরণীতে। যাকে দিশা দেখান নেইমার। ৮৮ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ব্রাজিলীয়র অনবদ্য গোলে নতুন করে আশা দেখতে শুরু করে বার্সেলোনার ভক্তরা।
এর দুমিনিটের মধ্যে ফের পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। আর খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বদলি রোবার্তো চিপ করে প্যারিস সাঁ জারমঁ-র জালে বল ঢুকিয়ে দিতেই বিজয়োল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। একদিকে, যখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে কেঁদে ফেলেন বার্সা ভক্তরা, অন্যদিকে তখন স্তম্ভিত বিপক্ষ দল। ঘটনার আকস্মিকতা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিল না।