MS Dhoni Twitter: ধোনির অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরাল ট্যুইটার, উঠল ভেরিফায়েড ব্যাজ
শনিবার মাহির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই ব্লু টিক-টি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০২১-এর ৮ জানুয়ারি শেষ টুইট করেছিলেন ধোনি।
নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরাল আমেরিকান মাইক্রো-ব্লগিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটার। ৮.২ মিলিয়ন ফলোয়ার থাকা মাহির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শনিবার এই ব্লু টিক-টি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন এই কাজ করা হয়েছে তার এখনও কোনও উত্তর দেয়নি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।
এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতেই খুব একটা 'অ্যাকটিভ' নন মাহি। ২০১৮ সাল থেকেই ক্রমশ ছেদ পড়েছে তাঁর ট্যুইট-অ্যাকটিভিটিতেও। ২০২১-এর ৮ জানুয়ারি শেষবার কোনও ট্যুইট করেছিলেন ধোনি। গত বছর ১৫ অগাস্টের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণার মঞ্চ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুককে বেছে নিলেও ট্যুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে সেই খোঁজ দেননি ক্যাপ্টেন কুল।
মাহির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরে যাওয়ায় অবশ্য মাইক্রোব্লগিং সংস্থার ওপর বেশ চটেছেন তাঁর ভক্তরা। তবে এটাই প্রথম কোনও ঘটনা নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার 'ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট' গুলির ব্লু টিক সরিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ট্যুইটার। ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, আরএসএসের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। যদিও অল্প সময় ব্যবধানের মধ্যে ব্লু-টিকের 'ভুল' শুধরে নিয়েছিল ট্যুইটার।
মাইক্রোব্লগিং সংস্থা তথা সোশ্যাল সাইট ট্যুইটারের নিয়ম অনুযায়ী, ব্লু টিক তথা ভেরিফায়েড ব্যাজ তারা তুলে নিতে পারে যদি কোনও অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকে। বা যদি কোনও অ্যাকাউন্টের জন্য প্রদত্ত তথ্যের সম্পূর্ণ উল্লেখ না থাকে। ট্যুইটারের গাইডলাইন বলছে, কোনও ব্যক্তি বা অ্যাকাউন্ট একইরকম গ্রহণযোগ্য বা বিশ্বাসযোগ্য না থাকলেও তারা ব্লু টিক সরিয়ে নিতে পারে। ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্যুইটারের নির্দিষ্ট গাইডলাইন পলিসি একাধিকবার ভঙ্গ করলে, জনসমক্ষে হিংসাত্মক মন্তব্য ছড়ালেও করা হয়। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টকে আর 'ভেরিফায়েড' স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণ ঠিক কী, তা অবশ্য ট্যুইটারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি।