T20 WC: চাপের মুখে অনবদ্য দুই পাক ওপেনার, নতুন রেকর্ড গড়লেন বাবর-রিজওয়ান
Babar-Rizwan Partnership: এই নিয়ে নবমবার টি-টোয়েন্টিতে শতরান যোগ করলেন বাবর ও রিজওয়ান। ভারতের দুই তারকা ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা বাবরদের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
সিডনি: পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপের প্রধান স্তম্ভ বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) সুপার ১২-র পাঁচ ম্যাচে দুইজনের কেউই বড় রান করতে পারেননি। অবশ্য বড় খেলোয়াড়রা কিন্তু পারফর্ম করার জন্য বরবারই বড় মঞ্চই বেছে নেন। সেই মতোই সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে (PAK vs NZ) ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন বাবর ও রিজওয়ান। বিশ্বকাপের মঞ্চে গড়ে ফেললেন নতুন রেকর্ডও।
বাবর-রিজওয়ানের রেকর্ড
১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই এদিন আক্রণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন দুই পাক ওপেনার। দুইজনে মিলে ওপেনিংয়ে ১০৫ যোগ করেন। অর্ধশতরান হাঁকান দুইজনেই। বাবর ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ বলে ৫৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মহম্মদ রিজওয়ান। নিজেদের শতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপেই নতুন ইতিহাস লিখলেন বাবর ও রিজওয়ান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে তৃতীয়বার শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন দুই পাক তারকা। বিশ ওভারের বিশ্বকাপে এতবার শতরানের পার্টনারশিপ করার রেকর্ড আর কারুর নেই।
এই নিয়ে নবমবার টি-টোয়েন্টিতে শতরান যোগ করলেন বাবর ও রিজওয়ান। তাঁদের ধারেকাছে আর কোনও জুটি নেই। ভারতের দুই তারকা ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা বাবরদের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তবে তাঁরা বেশ খানিকটা পিছিয়ে। রোহিত ও রাহুল মোট পাঁচবার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েছেন। প্রসঙ্গত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর ও রিজওয়ানই একত্রিতভাবে পার্টনারশিপে সর্বাধিক রান করেছেন। দুইজনে পাকিস্তানের হয়ে একসঙ্গে ক্রিজে উপস্থিত থাকার সময় মোট ২৫০৯ রান যোগ করেছেন, যা একটি রেকর্ড।
ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান!
বাবর আজমদের (Babar Azam) মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। কিউয়িদের সেমিতে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। আর তারপরই বেশ উত্তেজিত ম্যাথু হেডেন। ফাইনালে ভারত-পাক লড়াই দেখতে চান হেডেনও। পাকিস্তানের ফাইনালে ওঠার পরই হেডেন বলেন, ''দুর্দান্ত জয়। আজকের রাতটা ভীষণ স্পেশাল। অনেকগুলো ইতিবাচক দিক রয়েছে আমাদের। বাবর ও রিজওয়ানকে নিয়ে প্রশংসা করছেন সবাই। আর আমাদের অসাধারণ বোলিং আক্রমণ তো রয়েইছে। এই ছেলেরা অনেকদিন ধরেই পাকিস্তানের হয়ে দারুণ খেলে আসছে। বিশেষ করে হ্যারিসকে নিয়ে কথা বলতেই হবে। নেটে প্রত্যেক ফাস্ট বোলারকে দারুণ ব্যাট করেছে ও।''
এরপরই হেডেন বলেন, ''আমি অবশ্যই চাইব ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামুক পাকিস্তান। তার একটাই কারণ এই ম্যাচের উত্তাপ। এই ম্যাচের পারদ যেভাবে চড়ে তার কোনও তুলনাই হয় না। এই ম্যাচের আবহ বিশ্ব ক্রিকেটে আর অন্য় কােনও ম্যাচে দেখা যায় না।''
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে অতীতের সাফল্য থেকে আত্মবিশ্বাসের সন্ধানে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত