(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Womens Wrestler: ভিনেশ, সাক্ষীদের লড়াইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা কপিল দেব, নীরজ চোপড়ার
Womens Wrestler update: দীর্ঘদিন ধরেই ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছেন বেশ কয়েকজন মহিলা কুস্তিগীর।
নয়াদিল্লি: দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের আন্দোলন সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। দেশের কুস্তি সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন সাতজন মহিলা কুস্তিগীর। যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভেও বসেছেন তারা। সেখানে কুস্তিগীরদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ভিনেশ ফোগাত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ার মতো তারকা কুস্তিগীররা। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বার্তা দিলেন নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ বার্তা দিয়েছেন, ''এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। নমনীয়তা এবং কোনওরকম পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গেই বিষয়টি দেখা উচিত। সংস্থার উচিত, দ্রুত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং ন্যায়বিচার করা।''
— Neeraj Chopra (@Neeraj_chopra1) April 28, 2023
কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কিংবদন্তি কপিল দেবও। তিনি তাঁর সোশ্য়াল মিডিয়ায় স্ট্যাটাসে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ''তাঁরা কি কখনও সুবিচার পাবেন?''
উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ সিংহয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয় যে তাঁরা এফআইয়ার দায়ের করার জন্য প্রস্তুত। পাঁচদিন ধরে বারবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন ফেডারেশনের ৭ জন মহিলা কুস্তিগীর। কিন্তু তাতে প্রাথমিকভাবে কর্ণপাত না করলেও, অবশেষে নত হতে হল পুলিশকে। তবে নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ সভা অব্যাহত। সেখানেই তাঁরা রাত্রিযাপনও করেন।
ভারতীয় অলিম্পিক্স কমিটির তরফে আপাতত বক্সিং ফেডারেশনের প্রতিদিনের কাজ চালানোর জন্য এক তিন সদস্যের অ্যাড-হক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে ৪৫ দিনের মধ্যেই বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচন আয়োজন করার জন্য বলা হয়েছে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও শুনানি চলছে। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নিয়ে এক রিপোর্ট দাখিল করবে বলেই জানা যাচ্ছে।
কমিশনের তরফে বন্দনা সিংহ জানিয়েছেন, ''পাঁচদিন হয়ে গেল কিন্তু দিল্লি পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। পকসোর কেসও আছে। কিন্তু তারপরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। মেয়েদের পরিবারের কাছে ক্রমাগত খুনের হুমকি আসছে। পরিবারের মানুষের মনে হচ্ছে যে দিল্লি পুলিশের অফিসাররা সব নাম ফাঁস করে দেওয়ায় তাঁদের বিপদ আরও বাড়ছে। দেশের রাজধানীতে প্রতিদিন ৬ জন করে করে নারী শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন। এই পরিস্থিতিতে এখানকার পুলিশ পুরো গুন্ডামিতে নেমে এসেছে।''