Chetan Sakariya Father Death: করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত রাজস্থান রয়্যালসের পেসারের বাবা
চেতন সাকারিয়ার বাবা কাঞ্জিভাই সাকারিয়ার করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট কয়েকদিন আগেই পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মানলেন তিনি।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে সারা দেশজুড়েই। অনেকেই তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে। এরমধ্যে আইপিএলের দল রাজস্থান রয়্যালসের পেসার চেতন সাকারিয়া হারালেন তাঁর বাবাকে। চেতন সাকারিয়ার বাবা কাঞ্জিভাই সাকারিয়ার করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট কয়েকদিন আগেই পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মানলেন তিনি।
রাজস্থান রয়্যালসের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও আমরা তাঁর পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।
রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষ থেকে ট্যুইটে বলা হয়েছে, কাঞ্জিভাই সাকারিয়ার এই মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক। তিনি আজ প্রয়াত হয়েছেন। আমরা চেতনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি এবং তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে এই কঠিন সময়ে সম্ভাব্য সমস্ত ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।
উল্লেখ্য, বায়ো সিকিউর বাবলে একের পর এক প্লেয়ারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে বিসিসিআই এবারের আইপিএল স্থগিত রাখে। অনেক প্লেয়ারই পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে গিয়েছেন। এরইমধ্যে চেতন সাকারিয়া জানতে পারেন যে, তাঁর বাবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর এই কঠিন সময়ে আইপিএলে খেলে অর্থোপার্জন করেন চেতন সাকারিয়া। এই উপার্জিত অর্থ তিনি এই় প্রয়োজনের সময় বাড়িতে পাঠাতে পেরেছিলেন।
কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমকে চেতন সাকারিয়া বলেছিলেন যে, আমার সৌভাগ্য, কিছুদিন আগে আমি আমার প্রাপ্য অর্থের একটা অংশ রাজস্থান রয়্যালসের কাছ থেকে পেয়েছি। আমি সঙ্গে সঙ্গে টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এই কঠিন সময়ে ওই অর্থ আমাদের পরিবারের কাজে এসেছে।
চেতন সাকারিয়াকে ১.২৩ কোটি টাকা দিয়ে চেতন সাকারিয়াকে দলে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তিনি বলেছিলেন, লোকজন বলছে, আইপিএল বন্ধ হোক। আমি অন্য কিছু বলব। পরিবারে আমিই একমাত্র রোজগার করি। ক্রিকেট আমার আয়ের একমাত্র উৎস। আইপিএল থেকে টাকা আয় হয়েছে বলেই আমি ভালোভাবে বাবার চিকিৎসার করতে পারব।
কিন্তু চেতনের প্রয়াস সফল হল না। প্রয়াত হলেন তাঁর বাবা। এর আগে ক্রিকেটার ভেদা কৃষ্ণমূর্তি ১৪ দিনের মধ্যে তাঁর মা ও বোনকে করোনার কারণে হারিয়েছিলেন।