![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Ranji Trophy: ফাইনালে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার, ৩৪ রানে হারাল ৫ উইকেট
ABP Exclusive: খেলা দেখতে মাঠে আসা সমর্থকরা গ্যালারিতে থিতু হয়ে বসার আগেই দেখলেন, হারের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে বাংলা শিবিরে।
![Ranji Trophy: ফাইনালে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার, ৩৪ রানে হারাল ৫ উইকেট Ranji Trophy Final: Bengal had a disastrous opening session as they lost 5 wickets in 34 runs against Saurashtra at Eden Gardens Ranji Trophy: ফাইনালে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার, ৩৪ রানে হারাল ৫ উইকেট](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/02/16/2a889321e57f6ceccaf5c46a851d51d0167652092997050_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সাধারণ মানুষ যাতে খেলা দেখতে আসেন, তার জন্য সকলের প্রবেশ অবাধ করে দিয়েছে সিএবি (CAB)। মাঠে এসে বাংলাকে সমর্থন করার আবেদন জানাচ্ছেন সিএবি কর্তারা। ইডেনের (Eden Gardens) সবুজ পিচে সৌরাষ্ট্রকে (Ben vs Sau) দুমড়ে মুচড়ে রঞ্জি (Ranji Trophy) চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলা, ঘুচে যাবে ৩৩ বছরের খরা।
কিন্তু ধাক্কাটা খেতে হল বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই। টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠালেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকট। আর সবুজ পিচে হাহাকার পড়ে গেল বাংলা শিবিরে। মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে ব্যাটিং লাইন আপের অর্দ্ধেকে ড্রেসিংরুমে। ১৩ ওভারে মাত্র ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে বাংলা। ফিরে গিয়েছেন চলতি মরসুমে বাংলার সেরা ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদারও। এবং খেলা দেখতে মাঠে আসা সমর্থকরা গ্যালারিতে থিতু হয়ে বসার আগেই দেখলেন, হারের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে বাংলা শিবিরে।
বাংলা শিবির থেকে বলা হচ্ছিল, গতির কড়াইয়ে ফেলা হবে বিপক্ষকে। পেস-অস্ত্রে ঘায়েল করা হবে সৌরাষ্ট্রকে। রাজকোটের মন্থর গতির, লো বাউন্সের উইকেটে খেলে যারা অভ্যস্ত, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে গতি ও বাউন্সে। যে কারণে সেমিফাইনালে পারফর্ম করেও বাদ পড়তে হয়েছে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। বাঁহাতি স্পিনারের পরিবর্তে খেলছেন মিডিয়াম পেসার আকাশ ঘটক। কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল, সবুজ পিচের কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে ফালাফালা করে দিল বাংলা শিবিরকেই।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকট। প্রথম ওভারেই বাংলা ইনিংসে ধাক্কা দেন তিনি। ঘড়িতে তখন বাদে ৯.০৬। উনাদকটের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা।
কর্ণ লাল নয়, এই ম্যাচে ওপেনিং করলেন সুমন্ত গুপ্ত। তাঁর হাতে ম্যাচের আগে ক্যাপ তুলে দেন মনোজ তিওয়ারি। বড়িশা ক্লাবের হয়ে স্থানীয় ক্রিকেটে খেলেন সুমন্ত। আগের দিন থেকেই বলাবলি হচ্ছিল যে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সুদীপ ঘরামিদের পথে হেঁটে রঞ্জি ফাইনালে অভিষেক ঘটাচ্ছেন সুমন্ত।
যদিও বাইশ গজে সুমন্তর সঙ্গী একরাশ হতাশা। দ্বিতীয় ওভারে চেতন সাকারিয়ার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সুমন্ত। ওই ওভারেই সাকারিয়ার অফস্টাম্পে পড়া বলে জাজমেন্ট দিয়ে বোল্ড হন ছন্দে থাকা সুদীপ ঘরামি। মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলা শিবির তখন থরহরিকম্প।
ক্রিজে মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলার সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার। মনে করা হয়েছিল, দলকে বিপন্মুক্ত করবেন মনোজ-রুকু (অনুষ্টুপের ডাকনাম)-রা। কিন্তু মনোজ অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন। মাত্র ৭ রানে। রুকুও ১৬ রান করে ফিরলেন। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে বাংলা।
আরও পড়ুন: আচমকা ডিগবাজি, টেস্টের ক্রমতালিকায় ভারতকে দুইয়ে নামিয়ে দিল আইসিসি
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)