Ranji Trophy: ৪৩৮ রান তুলে শেষ বেলায় মধ্যপ্রদেশকে জোড়া ধাক্কা, সেমিফাইনালের রাশ বাংলার হাতে

BCCI Domestic: মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান তোলার পর দিনের শেষে প্রতিপক্ষকে ৫৬/২ করে দিয়েছে বাংলা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েল।

শেষ বেলায় মধ্যপ্রদেশকে ধাক্কা দিলেন বাংলার দুই পেসার। - বিসিসিআই

ইনদওর: মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দিনই কি জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে বাংলা (Ben vs MP)?

বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল প্রশ্ন শুনলেই ভ্রু কোঁচকাবেন। ক্রিকেটার হিসাবে আগ্রাসী ছিলেন। অধিনায়ক হিসাবে মাঠে তাঁর চিৎকার এখনও কানে বাজে অনেকের। ক্রিকেটারদের চুপ করে থাকতে দেখলেই বলতেন, 'আওয়াজ করকে খেলো।' সেই লক্ষ্মী কোচ হিসাবে অনেক সতর্ক। খুব বেশি আগ্রাসী মন্তব্য করেন না। লক্ষ্মী বলতে পারেন, 'এখনও অনেক পথ যেতে হবে। ম্যাচের তিনদিন বাকি। ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।'

বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা কিন্তু আশায় বুক বাঁধছেন। কারণ, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান তোলার পর দিনের শেষে প্রতিপক্ষকে ৫৬/২ করে দিয়েছে বাংলা। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েল। এখনও ৪০২ রানের লিড বাংলার হাতে। এবং মধ্যপ্রদেশ শিবিরের শরীরী ভাষা বলছে, চাপে পড়ে গিয়েছেন গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ বাঁচানো অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে হিমাংশু মন্ত্রী, বেঙ্কটেশ আইয়ারদের।

প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলল বাংলা (Ben vs MP)। মনোজ তিওয়ারিদের (Manoj Tiwary) প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩৮ রানে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন আরও ১৩১ রান যোগ করে বাংলা। ব্যাট হাতে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিলেন অভিষেক পোড়েল ও মনোজ নিজে।

ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিন বাংলা শেষ করেছিল ৩০৭/৪ স্কোরে। সেখান থেকে আরও ১৩১ রান যোগ করল বাংলা। প্রথম দিন ব্যাট হাতে দলকে ভাল জায়গায় রেখেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি। দুজনই সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় দিন বাংলার ইনিংসকে টানলেন মনোজ ও অভিষেক।

মনোজ ৪২ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবে আউট হওয়ার বল দেখেও উৎসাহিত হতে পারেন বঙ্গ অধিনায়ক। কারণ, কুমার কার্তিকেয়র বল পিচে পড়ে এতটা ঘুরেছে ও লাফিয়েছে যে, এই পিচে বাংলার স্পিনাররাও এরকম ডেলিভারি করলে মধ্য প্রদেশের ব্যাটাররা চাপে পড়বেন।

হাফসেঞ্চুরি করেন অভিষেক পোড়েল। তবে প্রদীপ্ত প্রামাণিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান। ব্যক্তিগত ৫১ রানে। প্রদীপ্ত ২১ রান করেন। তবে টেল এন্ডাররা আর কেউ রান পাননি।

মধ্যপ্রদেশের বোলারদের মধ্যে কুমার কার্তিকেয় ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট গৌরব যাদব ও অনুভব অগ্রবালের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তুলেছে মধ্যপ্রদেশ। ক্রিজে দুই নাইট ওয়াচম্যান সারাংশ জৈন ও অনুভব অগ্রবাল।