এক্সপ্লোর
Advertisement
ফাইনালে 'ফ্লপ শো' নিয়ে এখনও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিজয় শঙ্কর
নয়াদিল্লি: নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৮ তম ওভারের আগে পর্যন্ত ভারতীয় অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করের প্রথম আন্তর্জাতিক টি ২০ সিরিজটা দুরন্ত কেটেছে। লিগের একটা ম্যাচে বল হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের দৌলতে ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছিলেন তিনি। ফিল্ডিংয়েও দারুণ চৌখস দেখিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ছবিটা বদলে যায় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাট করতে নেমে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন তামিলনাড়ুর ২৭ বছরের এই অলরাউন্ডার। কিন্তু চাপের মুখে সেভাবে দলের কাজে আসতে পারলেন না তিনি। প্রতি ওভারে যখন দশের বেশি রান দরকার, তখন বিজয় কোনওক্রমে ১৯ বলে ১৭ রান করেন। ১৮ তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের পরপর চারটি বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। শেষ ওভারেও একটি বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি। তারওপর আউট হয়ে আর একটি বল নষ্ট করেন তিনি।
তারপর দীনেশ কার্তিকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং-শেষ বলে ছয় দলের জয় নিশ্চিত করে। ট্রফি জয়ের ৪৮ ঘন্টা পরও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিজয় শঙ্কর। গতকাল তিনি বলেছেন, 'পাঁচটা বল মিস করে হতাশ, শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মেরেও বাকি দুটি বলে প্রয়োজনীয় রানটা তুলতে না পেরে হতাশ। এই পর্যায়ে প্রথমবার ব্যাট করতে নেমে এ ধরনের সুযোগ খুবই কম পাওয়া যায়। আমি যদি একটা ছক্কা মারতে পারতাম, তাহলে সব কিছু আলাদা হত। আসলে এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আসল সময়ে কাজের কাজটা করতে পারলাম না, এতে আমি আরও বেশি করে হতাশ'।
শঙ্কর মুস্তাফিজুরকে আইপিএলে হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের নেটে দেখেছেন গত দু বছর ধরে। মুস্তাফিজুরের মতো বোলারকে ম্যাচ সিচুয়েশনে মুখোমুখি হওয়াটা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার বলে স্বীকার করে নিয়েছেন শঙ্কর।
তিনি বলেছেন, 'নেটে মুস্তাফিজুরকে দেখা আর ম্যাচে ওর বিরুদ্ধে খেলাটা সম্পূর্ণ আলাদা। অন্য কোনওদিন আমি হয়ত এ ধরনের পরিস্থিতিতে ওই বলগুলি মিস করতাম না। আমি এক্ষেত্রে চাপের কথাও বলব না। আসলে আমার মনে হচ্ছে যে, ওই দিনটা আমার ছিল না। প্রথম তিনটি বল মিস করে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ট্যাপ করে সিঙ্গল নেওয়ার কথা ভাবতে পারতাম। যদিও, শেষ ওভারে আমি একটা বাউন্ডারি মেরেছিলাম। ওই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত থাকাটা আমাকে একটা আলাদা অভিজ্ঞতা দিয়েছে। এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার পর তা ভবিষ্যতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছি'।
ড্রেসিংরুমে অবশ্য সবাই পাশে দাঁড়ান শঙ্করের। তিনি জানিয়েছেন, 'প্রত্যেকেই পিঠ চাপড়ে দিয়ে স্বান্তনা দিয়েছে। অনেক খেলোয়াড়ই বলেছে যে, আমিই এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখে প্রথম পড়িনি। ওরা সবাই আমাকে উত্সাহিত করেছে'।
ট্যুইটারে ট্রোলও হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে শঙ্কর বলেছেন, দলের সমর্থকদের ভাবাবেগের বিষয়টি বুঝতে পারছেন তিনি।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement