SL vs PAK 1st Test: শতরান বাবরের, জয়সূর্যর ৫ উইকেট, দ্বিতীয় দিনের শেষে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা
SL vs PAK 1st Test, Day 2: প্রথম টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে বাবর আজমের অসাধারণ শতরান সত্ত্বেও, শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের থেকে ৪০ রানে এগিয়ে রয়েছে।
গল: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের (Sri Lanka vs Pakistan 1st Test) প্রথম দিনে মাত্র ২২২ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর, দিনের শেষ দিকে শুরুতেই দু'টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লঙ্কান বোলাররা। লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় দিনেও তাড়াতাড়ি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে অল আউট করার। সেই লক্ষ্যে সফলও হয় শ্রীলঙ্কা।
শুরুতেই আজহার আলিকে তিন রানে আউট করেন প্রবথ জয়সূর্য (Prabath Jayasuriya)। ২৪ রানে তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম (Babar Azam) পাকিস্তানের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বটে। তবে ১৯ রানে রিজওয়ান আউট হতেই পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বস নামে। জয়সূর্য একাই পাকিস্তান মিডল অর্ডারকে ছারখার করে দেন। ১৪৮ রানে যখন পাকিস্তান নবম উইকেট হারায়, তখন বেশ বড় লিড নেওয়ারই স্বপ্ন দেখছিল দ্বীপরাষ্ট্র। তবে তাদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর।
অসামান্য শতরান বাবরের
নাসিম শাকে সঙ্গে নিয়ে ১০ম উইকেটে ৭০ রান যোগ করেন বাবর। নিজের সপ্তম টেস্ট শতরানটিও করে ফেলেন। মুশকিল পরিস্থিতিতে এই শতরান বহুদিন মনে রাখার মতো। শেষমেশ ১১৯ রানে আউট হন বাবর। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের থেকে চার কম, ২১৮ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। প্রসঙ্গত, এটি পাকিস্তান অধিনায়ক হিসাবে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে বাবরের নবম শতরান। পাকিস্তান অধিনায়ক হিসাবে এটি যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। ইনজামাম-উল-হকেরও নয়টি শতরান রয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক হিসাবে। তবে তা এসেছিল ১৩১ ইনিংসে, বাবর সেই কৃতিত্ব গড়লেন ৭০টি ইনিংস খেলে।
দিনের শেষে সাফল্য পাকিস্তানের
শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে সর্বাধিক পাঁচ উইকেট নেন জয়সূর্য। বাবরের ব্যাটিং দৌরাত্ম্যের পর, ব্যাটে নেমে শ্রীলঙ্কান ওপেনাররা বেশ দেখে শুনেই খেলছিলেন বটে। তবে দিনের শেষের দিকে ১৬ রানে আউট হন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩৬ রান এক উইকেটের বিনিময়ে, লিড ৪০ রানের। এখনও অবস্থিতি পরিস্থিতির বিচারে ম্যাচে খানিকটা হলেও শ্রীলঙ্কাই এগিয়ে। তবে যেভাবে এই ম্যাচে গুচ্ছে উইকেট পড়েছে, তাতে আগে থেকে কিছুই বলা যায় না।
আরও পড়ুন: অনবদ্য বাবর পিছনে ফেললেন বিরাটকে, ভাগ বসালেন ইনজামামের কৃতিত্বে