এক্সপ্লোর
Advertisement
'মরু ঝড়' ম্যাচে মেজাজ হারিয়েছিলেন সচিন, বাড়িতে ফিরে ধমকও খেতে হয়েছিল
সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ার নিয়ে কথা বলতে গেলে ১৯৯৮-এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে 'মরু ঝড়ে'র প্রসঙ্গ উঠবেই। ১৯৯৮-এর ২২ এপ্রিল শারজায় মরু ঝড় দুবার উঠেছিল। প্রথমবার আক্ষরিক অর্থেই।
নয়াদিল্লি: সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ার নিয়ে কথা বলতে গেলে ১৯৯৮-এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে 'মরু ঝড়ে'র প্রসঙ্গ উঠবেই। ১৯৯৮-এর ২২ এপ্রিল শারজায় মরু ঝড় দুবার উঠেছিল। প্রথমবার আক্ষরিক অর্থেই। ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয়েছিল অসি ফিল্ডার ও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। দ্বিতীয় ঝড় উঠেছিল সচিনের ব্যাটে। একদিনের ক্রিকেটে সচিনের অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে শারজার 'মরু ঝড়'। যদিও তাঁর ১৪৩ রানের ইনিংস দলকে জয়ী করতে পারেনি। কিন্তু তা ক্রিকেটের লোকগাথায় ঢুকে গিয়েছে। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজে রান রেটের বিচারে ভারতকে ফাইনালে তুলে দিয়েছিল ওই ইনিংস। বাকিটা ইতিহাস।
সচিনের সেই ইনিংস ঘিরে অনেক কথাই পরবর্তী কালে উঠে এসেছে। অসি অ্যাটাক ভোঁতা করার ক্ষেত্রে সচিনের কৌশল, তাঁর মনোভাব ও ব্রেকের সময় ড্রেসিংরুমের কথাবার্তা-র টুকরো টুকরো ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন। তবে সবচেয়ে স্মরণীয় হল, ডেমিয়েন ফ্লেমিং, মাইকেল কাসপ্রোউইচ, শেন ওয়ার্ন ও টম মুডিকে নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার বোলিং অ্যাটাকের সামনে সচিনের সংহারমূর্তি।
সচিন তাঁর কেরিয়ারের সেরা ইনিংস খেললেও বাড়ি ফিরে কিন্তু ধমক খেতে হয়েছিল দাদা অজিত তেন্ডুলকরের কাছে।
২২ বছর আগের সেই ইনিংসের কথা স্মরণ করতে গিয়ে সচিন জানিয়েছেন, ওই ইনিংস চলাকালে ভিভিএস লক্ষ্মণের ওপর মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি। আর তা একেবারেই ভালো লাগেনি তাঁর দাদার।
খেলা সাময়িকভাবে বন্ধের আগে ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২৮৫ রান। মরুঝড়ের পর সেই লক্ষ্য সংশোধিত হয়। চার ওভার কমে যায়। জয়ের লক্ষ্য হয় ২৭৬ রান। সচিন তখন তরুণ লক্ষ্মণের সঙ্গে ক্রিজে। ম্যাচ জিতে ভারতকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার খিদে তাঁকে কতটা পেয়ে বসেছিল, তা জানিয়েছেন সচিন।
তিনি বলেছেন, আমার মনে আছে, বেশ কয়েকবার আবেগ ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল। আর তার রেশ গিয়ে পড়ে লক্ষ্মণের ওপর। ওকে বলি, দুই রান নাও। আমার কল, তুমি দৌড়চ্ছে না কেন?
পঞ্চম উইকেটে সচিন ও লক্ষ্মণ ১০৪ রান যোগ করেন। সচিন ১৩১ বলে ১৪৩ রান করে আউট হন।
সচিন জানিয়েছেন, বাড়িতে ফেরার পর দাদা আমাকে ধমক দেয়। ও বলে, মাঠে এসব না ঘটলেই ভালো হত। ও তোমার সহ খেলোয়াড়, দলের জন্যই খেলছে। ওটা তোমার একার ম্যাচ ছিল না। তোমার সঙ্গেই ও খেলছিল। এ কথা শুনে খানিক লজ্জা পেয়েছিলাম।
লক্ষ্মণ ৩৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ভারত ৪৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ রান করে। ২৬ রানে হারলেও নেট রান রেটের ভিত্তিতে ফাইনালে ওঠে ভারত।
ফাইনালে সচিনের ব্যাট থেকে এসেছিল আরও একটা অনবদ্য সেঞ্চুরি। ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
জেলার
Advertisement