Jukti Takko: 'আমরা ধর্মকে রাজনীতির দখলদারি থেকে মুক্ত করতে চাই', বললেন শতরূপ ঘোষ | ABP Ananda Live
ABP Ananda Live: '৩৪ বছরের বাম শাসনে কারও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়নি। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের কোনও দিন 'ধর্মনিরপেক্ষ' সাজতে হয়নি। ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের দালাল বিজেপি আর RSS। জ্যোতি বসুর তৎুপরতায় ইদের নামাজ শহিদ মিনার ময়দান থেকে রেড রোডে। কিন্তু জ্যোতি বসুকে ভোটের জন্য ইদের নামাজে গিয়ে বিরোধীদের গালাগালি দিতে হয়নি। রাজ্যে প্রায় সব পুজো কমিটিরই রাজনীতিকরণ হয়েছে। রাজ্যে ধর্মস্থানে রাজনীতির দখলদারি ঘটেছে। আমরা ধর্মকে রাজনীতির দখলদারি থেকে মুক্ত করতে চাই। ভোটের স্বার্থেই রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি'। বললেন শতরূপ ঘোষ।
''হিন্দুত্বও মুসলমানত্ব- দুই সওয়া যায়, কিন্তু তাদের টিকিত্ব আর দায়িত্ব অসহ্য়। কেননা ওই দুটোই মারামারি বাধায়।'' আমি বলছিনা, আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নজরুল ইসলাম যা বলেছেন- আজকের ভারতবর্ষে এবং নতুন করে, আজকের পশ্চিমবঙ্গে, তা একই রকম সত্য়ি। বিধানসভা ভোটের এক বছরের বেশি দেরি আছে। কিন্তু যেভাবে হিন্দু-মুসলমানের আইডেন্টিটি পলিটিক্স নিয়ে এখনই দাপাদাপি শুরু হয়ে গেছে, তাতে কে বলবে, ভোটএখনই দরজায় কড়া নাড়ছে না? কে বড় মুসলিম-দরদী- তার প্রতিযোগিতা তো ছিলই, এখন কে-কত বড় হিন্দু-তার লড়াইও পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। এই প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা, এই চূড়ান্ত ধর্মীয় মেরুকরণে ভোট তো টানা যায়- কিন্তু খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের লাভের লাভ হয় কি?

















