ED: বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি
পুলিশকে দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে প্রভাবশালীরা। এর নেপথ্য়ে রয়েছেন সাংবিধানিক পদে থাকা ব্য়ক্তিরা। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি। পাল্টা রাজ্য় সরকারের তরফে দাবি করা হল, জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করেছে। এই মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে কি ভুয়ো ED-র আধিকারিকরা ছিলেন, জানতে চেয়ে ED-কে ইমেল করেছে কলকাতা পুলিশ। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে আসল ED গেছিল কি না জানব কী করে? মাঝে মধ্যেই ভুয়ো CBI, ED এবং CID আধিকারিক ধরা পড়ে।
তাই যাঁরা তল্লাশিতে গেছিলেন সেই ED-র আধিকারিকদের পরিচয় জানতে চেয়েছে পুলিশ। এতে অন্যায় কোথায়? পাল্টা ED-র আইনজীবী দাবি করেন, বারবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
চেষ্টা হচ্ছে তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার। পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। এর পিছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণভাবে ইডির আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, আমাদের বলতে বাধা নেই যে, সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে। এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, সাইবার শাখায় অভিযোগ হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে আমরা অনুসন্ধান করছি। আমরা কখনই ED-র কাজে হস্তক্ষেপ করিনি। নিজেদের কাজের বাইরে গিয়ে ED ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেছে। তাই আমাদের অনুসন্ধান করতে হচ্ছে।আমরা যা করেছি সবটাই আদালতের নজরে আছে। ED নিজেই ভুল স্বীকার করেছে।
তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি সিনহা বলেন, যে জেনারেল ডায়েরি দায়ের হয়েছে তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করেছেন? রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশেই সব করছি। আমরা ED-কে ইমেল করেছি, ED উত্তর দেয়নি। বিচারপতি সিনহা বলেন, আমি খুশি হতাম যদি পুলিশ তাদের কাছে দায়ের হওয়া সমস্ত জেনারেল ডায়েরির ক্ষেত্রে এত দ্রুত পদক্ষেপ করত। এই মামলার ক্ষেত্রে এত অতিসক্রিয়তার কারণ কী? কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে?