Amazon Warning: 'হয় পদত্যাগ করুন, নাহলে এই নীতি মেনে নিন...', সংস্থার এক নির্দেশে রাতের ঘুম উড়ল কর্মীদের; কী ঘটেছে ?
Amazon Relocation Warning: যেহেতু ইতিমধ্যেই অনেক সংস্থাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে, তাই কর্মীদের উপরে এবার আরও চাপ বেড়েছে।
Amazon Relocation Warning: আমাজন তাদের হাজার হাজার কর্মীকে আর্লিংটন, ওয়াশিংটন এবং ভার্জিনিয়ার মত শহরে স্থানান্তরের নোটিশ জারি করেছে। বিভিন্ন টিমের কর্মীদের এই স্থানান্তর বা রিলোকেশনের নোটিশ দিয়েছে। আর এই কর্মীদের স্থানান্তরের (Amazon Relocation Warning) সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য ৩০ দিনের নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছে। তবে এও জানানো হয়েছে যে কর্মীরা যদি অন্যত্র আমাজনের অফিসে স্থানান্তরিত হতে না চান, বা রাজি না হন তাহলে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। পদত্যাগকারী কর্মীরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
কর্মীদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে
যেহেতু ইতিমধ্যেই অনেক সংস্থাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে, তাই কর্মীদের উপরে এবার আরও চাপ বেড়েছে। সংস্থায় এমন অনেক লোক রয়েছেন, যারা তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকেন, বাড়িতে স্কুলপড়ুয়া সন্তান রয়েছে, তাদের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন হবে। কারণ কোভিডের সময়ে আমাজন সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধে দিয়েছিল। তারপরে এই সংস্থা (Amazon Relocation Warning) বিগত ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে 'অফিসে ফিরে আসার' নীতি চালু করেছে, এবং এই নীতির অধীনে কর্মীদের অফিসে এসে ৫ দিন কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সংস্থা। সংস্থা চাইছে কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এবং দলগত কাজকে উৎসাহিত করতে।
আমাজন বিশ্বাস করে যে একসঙ্গে কাজ করা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে। কর্মীদের মধ্যে বন্ধন বৃদ্ধি করে এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে যদি কর্মী স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকেন, তাহলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সেই রিলোকেশন প্রোগ্রাম শুরু হবে।
কর্মীদের মধ্যে ছাঁটাইয়ের আতঙ্ক
সাম্প্রতিক সময়ে মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে মেটা, ওয়ালমার্ট, আইবিএম পর্যন্ত অনেক আমেরিকান কোম্পানিতে ছাঁটাই হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের জানিয়েছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Amazon Relocation Warning) কারণে কোম্পানিতে আগামী কয়েক বছর কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে। আমাজন এখন আরও বেশি করে তাদের কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ও এজেন্ট অন্তর্ভুক্ত করছে। এই সমস্ত কিছুর কারণে কর্মীদের মধ্যে চাকরি বাঁচানোর চাপ আগের থেকেও বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মার্কিন শুল্কনীতির কারণে বহু সংস্থা ইতিমধ্যেই অর্থ সাশ্রয়ের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এর পাশাপাশি ফক্সওয়াগন সংস্থাও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।






















