LIVE UPDATES: এই বাজেটে আয় ও লগ্নি, চাহিদা ও কেনাবেচা বাড়বে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা, বললেন প্রধানমন্ত্রী
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: এক বছর ধরে চলছে দেশের আর্থিক মন্দা। বৃদ্ধি নিম্নগামী, কর্মসংস্থানও আশানুরূপ নয়। এই পরিস্থিতিতে আজ সংসদে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থনীতিবিদদের আশা, বেহাল অর্থনীতির শক্ত হাতে হাল ধরে দেশকে বৃদ্ধির পথে ফেরাবেন তিনি।
মূলত পরিকাঠামো, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, রেলওয়ে, কৃষি, সেচ, যাতায়াত, স্বাস্থ্য ও পানীয় জলের মত ক্ষেত্রে বড়সড় বিনিয়োগ আশা করা যাচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি কমে হয়েছে ৪.৫ শতাংশ, এই পরিস্থিতিতে চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতির হাল ফেরানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের। কিন্তু ঠিক কীভাবে তা করা সম্ভব এখনও পরিষ্কার নয়, বিশেষ করে গোটা বিশ্বেই যখন অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। কিন্তু দেশের আর্থিক অভিমুখ নির্ধারণে ২০২০-র এই বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই পরিস্থিতিতে আজ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন সীতারমন। বিশেষজ্ঞদের আশা, মূলত জোর দেওয়া হবে পরিকাঠামোর উন্নতিতে ও কর্মসংস্থানে। সাধারণ নাগরিককে কিছুটা করছাড় দিয়ে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির চেষ্টা হওয়া সম্ভব, কারণ দেখা যাচ্ছে, বেশি জিএসটি, কৃষিক্ষেত্রে সমস্যা, আশানুরূপ বেতনবৃদ্ধি না হওয়া সহ নানা কারণে চাহিদা শ্লথ হয়ে এসেছে। ফলে জিডিপি তো কমেছেই, কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অটোমোবাইল, ভোগ্যপণ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই মন্দার প্রভাব পড়েছে চোখে পড়ার মত। গতকাল সংসদে যে আর্থিক সমীক্ষা পেশ হয়েছে তাতে বলা হয়েছে খরচ করাকে উৎসাহ দিতে যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে ও বৃদ্ধি অক্সিজেন পায়। খাদ্যে ভর্তুকিকে যুক্তিসঙ্গত করা হলে তা করা সম্ভব বলে মনে করছে সমীক্ষা, ২০১৯-২০ সালে এই ভর্তুকি পিছু ব্যয় হয়েছে ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। শেষ ৬টি ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ ২০১৮-র জানুয়ারি-মার্চে ৮.১ শতাংশ থেকে ২০১৯-এর জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৪.৫ শতাংশে নেমে আসা পর্যন্ত অর্থনীতির ক্রমাগত পতন হয়েছে। তবে সমীক্ষায় আশাপ্রকাশ করা হয়েছে ২০২০-২১ সালে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি, বৃদ্ধি ৬-৬.৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে।