Madhabi Puri Buch: ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার্থে পক্ষপাতিত্ব? আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ, SEBI প্রধানকে তলব করল PAC
Public Accounts Committee: আগামী ২৪ অক্টোবর মাধবী এবং অন্য আধিকারিকদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপি, দুর্নীতির তদন্ত করছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI. আবার SEBI-র প্রধান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যোগ উঠে এসেছে। সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার SEBI-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচকে তলব করল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। সরকারি খরচ-খরচার হিসেব রাখে সংসদের এই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। আগামী ২৪ অক্টোবর মাধবী এবং অন্য আধিকারিকদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে যে সমস্ত প্রমাণপত্র হাতে এসেছে, তা নিয়ে মাধবী এবং অন্য আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড হবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমেরিকার অনুসন্ধানকারী সংস্থা Hindenburg Research যে অভিযোগ তুলেছে, তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মাধবীকে। ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িয়ে বলে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে পক্ষপাতিত্বের উঠতে শুরু করেছে। সেই নিয়েও প্রশ্ন করা হবে মাধবীকে।
Hindenburg Research মারাত্মক সব অভিযোগ সামনে এনেছে। বলা হয়েছে, এমন কিছু বিদেশি সংস্থায় বিনিয়োগ রয়েছে মাধবী এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচের, যে সংস্থাগুলির মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠী দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ। Hindenburg-এর ওই রিপোর্ট নিয়ে মাধবী এবং ধবল জানান, যে বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, তা ২০১৫ সালে করা। সেই সময় সাধারণ নাগরিক ছিলেন তাঁরা। সিঙ্গাপুরে বাস করছিলেন। এর দু'বছর পর SEBI-তে পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসেবে যোগ দেন মাধবী। ২০১৭ সালে SEBI-র পূর্ণ সময়ের সদস্যতা পান মাধবী, চেয়ারপার্সন হন ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আদানি গোষ্ঠীও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সেই আবহেই সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি মাধবী, তাঁর স্বামী এবং অন্য আধিকারিকদের তলব করল। সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। মৌখিক বয়ান এবং অর্থমন্ত্রকের নথিপত্র দেখে SEBI-র পারফর্ম্যান্সবিচার করতে ২৪ অক্টোবর দিনটি ধার্য করা হয়েছে বলে আগেই জানান তিনি। যদিও মাধবীকে তলবে আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সংসদের বরাদ্দ করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ থাকলে তবেই এ নিয়ে বিচার-বিবেচনা করতে পার পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটি। SEBI নয়, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বলেও জানায় তারা। যদিও মাধবীকে তলবের বিষয়ে অনড় অবস্থান পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির।
শুধু মাধবীই নন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক, জনসংযোগ মাধ্যমের আধিকারিকদেরও হাজির হতে বলা হয়েছে। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI)-র চেয়ারপার্সন অনিলকুমার লাহোটিও হাজিরা দিতে পারেন। নিয়ম বলছে, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির তলবে হাজিরা দিতে বাধ্য আধিকারিকরা। এর আগে, মাধবী এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদ জানা. কংগ্রেস। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে তাদের। মাধবীর পদত্যাগও দাবি করা হয়।
মাধবী এবং ধবল অভিযোগ অস্বীকার করলেও, Hindenburg Research-এর দাবি, আর্থিক দুর্নীতিতে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যে বিদেশি সংস্থাগুলির নাম জড়িয়েছে, সেখানে বিনিয়োগ ছিল মাধবী এবং তাঁর স্বামীর। আদানিদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও, দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে তদন্তের নামে SEBI কিছু করেনি বলে অভিযোগ করে Hindenburg Research.