Malda News: গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ফের নদী ভাঙন মালদায়, আতঙ্কে স্থানীয়রা
Malda Erosion: গঙ্গা নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি, আতঙ্কে বাড়িঘর খুলে অন্যত্র সরে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা
করুণাময় সিংহ, মালদা: ব্যাপক নদী ভাঙন মালদার মানিকচকের গোপালপুর এলাকায়। গঙ্গা নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। আতঙ্কে বাড়িঘর খুলে অন্যত্র সরে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙতে শুরু করেছে নদী বাঁধ।
এবারে বিধ্বংসী আকার ধারণ করেছে গঙ্গা। জলস্তর বৃদ্ধির ফলে একদিকে যেমন বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মানিকচকের ভূতনি, রতুয়ার বিলাই মারি, মহানন্দাটোলা এলাকায়। অন্যদিকে ব্যাপক ভাঙ্গন হচ্ছে মানিকচকের গোপালপুর এলাকায়। এরই পাশাপাশি মহানন্দার জল বৃদ্ধির ফলে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল ঢুকে পড়েছে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীগুলির জল বেড়েছিল অনেকটাই। বৃষ্টি কমলেও সেসময় ভাঙনের সমস্যায় পড়েছিলেন জেরবার মাথাভাঙ্গার নিশিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানসাই পাড়ের বাসিন্দারা। মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের নিশিগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোজনের ছড়া এলাকার গত ২ বছর ধরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল।নদী ভাঙনের ফলে ইতিমধ্যে ২০০-৩০০ বিঘা জমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছিল বলে দাবি এলাকাবাসীদের। পাশাপাশি তেকোণিয়া ইকোপার্কের একটা বড় অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। নদী ভাঙন নিয়ে বারংবার প্রশাসনের নজরে নিয়ে এলেও কোনও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ ছিল তাঁদের।
নদীপাড়ের জমি ভাঙতে ভাঙতে ভাঙন শুরু হয়েছিল মাটির তৈরি বাঁধেও। আর এর ফলেই আতঙ্কিত ছিলেন এলাকাবাসীরা।মানসাই নদীর ভাঙন যেখানে শুরু হয়েছিল। তার পাশেই রয়েছে ভোজনের ছড়া,চকিয়ারছড়া, ছাড় জোড়পাটকি এবং কোদালধোয়া এই চারটি গ্রাম।যেহেতু মাটির বাঁধেও ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই সেবার ভিটেমাটি ছাড়ার আশঙ্কা করছিলেন চারটি গ্রামের প্রায় ৮০০ পরিবার।
আরও পড়ুন, জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর..
এর আগে মালদার মানিকচকে কোশী নদী ও হরিশ্চন্দ্রপুরের ডাকুরিয়ায় ফুলহার নদীতে ভাঙন দেখা গিয়েছিল। মানিকচকের ভুতনিতে তলিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১০০ মিটারের বেশি নদী তীরবর্তী এলাকা। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুণছিলেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন মালদা সদরের মহকুমা শাসক ও ব্লক সেচ দফতরের আধিকারিকরা। অন্য়দিকে, ফুলহার নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় হরিশ্চন্দ্রপুরের ভকুরিয়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্য়াপক ভাঙন শুরু হয়। পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির ফলে জলস্তর বেড়েছিল কোশী নদী ও ফুলহার নদীর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।