বাড়ল বরাদ্দ, খুলে গেল বেসরকারিকরণের রাস্তাও, শিক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
গত বারের তুলনায় এবার শিক্ষাখাতে ৪.৭ শতাংশ ব্যয় বাড়ল।
নয়াদিল্লি: ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা। গত বারের তুলনায় এবার শিক্ষাখাতে ৪.৭ শতাংশ ব্যয় বাড়াল সরকার। গত আর্থিক বর্ষে শিক্ষাখাতে কেন্দ্রের বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৮৫৩.৬৪ কোটি টাকা।
পয়লা ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে এই ঘোষণাই করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। শনিবারের বাজেট পেশের পর আরও একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল, সরকারের অধীনে থাকা একাধিক প্রতিষ্ঠানের মতো এবার শিক্ষাও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত তাঁরা করবেন।
একই সঙ্গে নির্মলা সীতারমন এদিন ঘোষণা করেন, স্কলাস্টিক অ্যাসেসমেন্ট টেস্টের (এসএটি) মাধ্যমে এশিয়া এবং আফ্রিকার কৃতী পড়ুয়াদের বৃত্তি দিয়ে এদেশে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’-র আওতায় বিদেশের কৃতীরা ভারতে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। এদিন সংসদে বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারমন বলেন, “খুব শীঘ্রই নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করা হবে।” একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, “ভারতের ১০০টি শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খেকে অনলাইনেই পাওয় যাবে ডিগ্রি।” সরকার শহরাঞ্চলের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনাও করছে, যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবদের প্রশিক্ষিত করা হবে।
আরও পড়ুন- এলআইসিতে নিজেদের শেয়ারের কিছুটা বিক্রি করছে সরকার, ঘোষণা নির্মলার
কোটাভিত্তিক নয়, এমন সাধারণ পড়ুয়াদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য অন্তত ১৫০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হবে নয়া শিক্ষা কর্মসূচি। আর তার জন্য ‘ন্যাশনাল পুলিশ ইউনিভার্সিটি’ ও ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক সাইন্স ইউনিভার্সিটি’-র মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির কথাও এদিন জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমন।
আরও পড়ুন- ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর দিতে হবে না, পুরনো কাঠামোতেই মিলবে ছাড়, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
বাজেটে সরকারের প্রস্তাব, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল অনুযায়ী সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে জেলা হাসপাতালগুলোকেও জুড়ে দেওয়া হবে। এতে ডাক্তারদের ঘাটতি মিটবে বলে দাবি কেন্দ্রের। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য শিক্ষক, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ এবং যারা রোগীদের সেবা সুশ্রুষা করেন, তাঁদের স্পেশাল কোর্সের বন্দোবস্ত করবে সরকার।